১৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে হবে ইপিবি ভবন
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জন্য ১২ তলা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১৫৬ কোটি ৬০ লাখ ৯২ হাজার টাকা। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই অর্থ ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
একই সঙ্গে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আরও তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই তিন প্রস্তাবের বিপরীতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫ টাকা। তিনটিই বিভিন্ন কাজের অতিরিক্ত ব্যয়।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ইপিবির জন্য ‘১২তলা বিশিষ্ট রপ্তানি উন্নয়ন ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ইউসিসিএল দি ইউনাইটেড কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। এতে ব্যয় হবে ১৫৬ কোটি ৬০ লাখ ৯২ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর জন্য ৩টি বেইজমেন্টের ওপর ১২ তলা বিশিষ্ট রপ্তানি উন্নয়ন ভবন নির্মাণ করা হবে।
সভায় বিসিএস ইকনমিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা (৩য় সংশোধিত) প্রকল্পের ভেরিয়েশন বাবদ ২৮ কোটি ৮ লাখ ৫ হাজার ২৮৪ টাকা ব্যয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ১৩ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান অ্যান্ড সন্স লিমিটেডের সঙ্গে ১৫৭ কোটি ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৩০ টাকায় ক্রয়ের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় টেন্ডারভুক্ত/টেন্ডার বহির্ভূত কিছু ‘আইটেম’ হ্রাস/বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ২৮ কোটি ৮ লাখ ৫ হাজার ২৮৪ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
এছাড়া ঢাকার মিরপুরস্থ ৯ নং সেকশনে ১৫টি ১৪ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (স্বপ্ননগর-২) প্রকল্পের ভেরিয়েশন প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রকল্পের পূর্ত-৮ ভবন-১৩ ও ২২-এর নির্মাণ কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নূরানী কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের নিকট থেকে ৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ১৪ হাজার ২৩৬ টাকায় ক্রয়ের চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় টেন্ডারভুক্ত/টেন্ডার বহির্ভূত কিছু ‘আইটেম’ হ্রাস/বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ২৩ কোটি ৩০ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৬ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।