শুল্ক অব্যাহতি ভোগের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান অর্থমন্ত্রীর
বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্ততি হিসেবে আমদানি পর্যায়ের বিদ্যমান বিভিন্ন শুল্ক-হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে এবং পাশাপাশি ব্যক্তি, প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারী পর্যায়ে শুল্ক অব্যাহতি ভোগ করার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজেটের আমদানি-রপ্তানি কর অধ্যায়ে এসব কথা বলেছেন।
বাজেট বক্তৃতায়ই তিনি আরও বলেছেন, উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির ওপর ভিত্তি করে ক্রমান্বয়ে শিল্পোৎপাদন-ভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর, ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের উদ্দেশ্যে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরি এবং শিল্পখাতকে উপযোগী করে গড়ে তুলতে এবং উন্নয়নকে একটি শক্ত কাঠামোর ওপর দাড় করানোর জন্য প্রয়োজন অব্যাহত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
এ উদ্দেশ্যে একদিকে যেমন রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে হবে অন্যদিকে দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণ, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণে সহায়তা, দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ ও স্মাট বাংলাদেশ শ্লোগানকে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে করনীতি সহায়তা প্রদান ও অব্যাহত রাখতে হবে। একই সাথে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্ততি হিসেবে আমদানি পর্যায়ের বিদ্যমান বিভিন্ন শুল্ক-হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
পাশাপাশি ব্যক্তি, প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি পর্যায়ে শুল্ক অব্যাহতি ভোগ করার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বিদ্যমান এ বাস্তবতায় উল্লিখিত উদ্দেশ্যসমূহ অর্জনে এবং দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে অর্থায়নের উদ্দেশ্যে রাজস্ব আয় বৃদ্ধিসহ অন্যান্য প্রস্তাবসমূহ বিস্তারিত পর্যালোচনা করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে আমদানি শুল্ক-কর বিষয়ে প্রণীত বাজেট প্রস্তাব মাধ্যমে জাতীয় সংসদে উপস্থান করা হবে।