বাজেটে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে গুরুত্ব
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আমদানি-রপ্তানি করনীতির মূল উদ্দেশ্য হিসেবে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি রপ্তানিমুখী শিল্পকে সহায়তা প্রদান এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।
অর্থমন্ত্রী বাজেটের আমদানি-রপ্তানি কর অধ্যায়ে এসব কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত অনুসারে, দেশের মার্কিন ডলারের দাম ১১৭ টাকা করা হয়েছে। বর্তমানে খোলা বাজারে ডলারের দাম ১২০ টাকা থেকে ১২৫ টাকা।
আমদানি পর্যায়ের শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি, সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো প্রণয়নের ক্ষেত্রে সাতটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়গুলো হচ্ছে- দেশীয় শিল্পকে বিদ্যমান নীতি সহায়তা যৌক্তিকীকরণের মাধ্যমে এর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নতুন ও সম্ভাবনাময়ী উৎপাদনমুখী খাতকে চিহ্নিত করে এর বিকাশে সহায়তা প্রদান।
২০২৬ সাল নাগাদ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন এবং উত্তরণ পরবর্তী সুযোগ কাজের লাগানোর উদ্দেশ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ; ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সরকার তথা সকল পর্যায়ে কর অব্যাহতি সুবিধা ভোগ করার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসা। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানিমুখী শিল্পকে সহায়তা প্রদান এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়। পণ্য খালাসে জটিলতা নিরসন এবং প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধি।