কর জিডিপির অনুপাত বৃদ্ধি করা একটি চ্যালেঞ্জ: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, কর-জিডিপির অনুপাত বৃদ্ধি করা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যমতে, কর জিডিপির অনুপাত ৭ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় না। চলতি অর্থবছর রাজস্ব আয়ের আকার ১ লাখ কোটি টাকা কমানো হয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় প্রত্যক্ষ কর আয় কর অধ্যায়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এসব কথা বলেছেন।
বাজেট বক্তৃতায় আরও বলা হয়েছে, আয়কর একটি দেশের অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ চালিকাশক্তি। যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আয়কর সাধারণত প্রগতিশীল ভিত্তিতে আরোপ করা হয়, যার লক্ষ্য হলো করভার ন্যায়-সঙ্গতভাবে বণ্টন করা, যেন উচ্চ আয়ের ব্যক্তি নিম্ন আয়ের ব্যক্তির তুলনায় তাদের আয়ের বৃহত্তর অংশ আয়কর হিসাবে পরিশোধ করে।
আয়ের পুনর্বণ্টনের মাধ্যমে সমতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আয়কর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক আহরিত মোট রাজস্বের প্রায় ৩৫ ভাগ আয়করের অবদান। করোনা অতিমারি এবং বৈশ্বিক যুদ্ধাবস্থার ধারাবাহিকতার মাঝেও আয়কর আহরণে গড় প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশের অধিক, যা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। কর-জিডিপির অনুপাত বৃদ্ধি করা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। রাজস্ব আহরণের এই চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণের জন্য অভ্যন্তরীণ রাজস্বের কোনো বিকল্প নেই। একটি কল্যাণমুখী এবং জনবান্ধব আয়কর সংক্রান্ত পরিবর্তন এই উদ্দেশ্য অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নীতি ও কর সহায়তা প্রদান, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রস্তুতি, রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, সম্পদের পুনর্বণ্টন ও বৈষম্য হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, দেশীয় শিল্পের সংরক্ষণ ও বিকাশ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণে নীতি ও কর সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।