তিন বছর ১০০ বিলিয়ান ডলার কোথায় পাবেন অর্থমন্ত্রী!

যানজটের ভোগান্তি ঠেলে দূরত্ব কমাতে ঢাকার রাজধানীর বুকে নির্মাণ হচ্ছে উড়াল সেতু। এরই মধ্যে যার একটি তেজগাঁওকে সংযুক্ত করেছে বিমানবন্দর পর্যন্ত। ফলে যাতায়াতে কমেছে সময়, খানিকটা স্বস্তি এসেছে নগরবাসীর মধ্যে। কিন্তু বিশাল এই প্রকল্পের খরচ নিয়ে চিন্তাায় পড়েছে সরকারের।

কয়েকটি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের পর এখন ঋণ পরিশোধ কীভাবে হবে তা নিয়ে ভাবছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। পেশাগত জীবনে কোনো সংশ্লেষ না থাকলেও তার কাঁধেই এখন দেশের পুরো অর্থনীতির চাপ। নতুন অর্থবছরের শুরুতেই তাই অর্থমন্ত্রীর কপালে চিন্তার ভাঁজ। কেন না, বছরব্যাপী পোহাতে হবে ঋণ শোধের ঝাঁজ। দেশের ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে গেলো মাত্র তিন বছরেই নেয়া হয়েছে অর্ধেকের বেশি। যদিও আজকের বাজেট ঘোষণায় এ ঋণের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। বাজেটে না থাকলেও পরিশোধ করতে হবে দেশি-বিদেশি ঋণের সোয়া লাখ কোটি টাকার সুদ। আগের বছরেও যা ছিল ৯৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা।

এখন দেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে দু’হাজারের মতো প্রকল্প। যার জন্য আসছে বছরেই কেবল বরাদ্দ ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। 

অর্থনীতির বিশ্লেষণ বলছে, কেবল অবকাঠামো খাড়া করে দেওয়াই কি উন্নয়নের প্রতীক? যেখানে বড় প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে মানবসম্পদের উন্নয়ন নিয়ে। অবস্থা এমন দাঁড়াচ্ছে যে, অপরিকল্পিত এসব প্রকল্পের আতিশয্য তৈরি করছে প্রাণহীন অর্থনীতির কঙ্কাল। যার মাশুল গুণবে আগামী প্রজন্ম, বছরের পর বছর।