সিঙ্গাপুর থেকে জ্বালানি তেল আনতে জাহাজ ভাড়া লাগবে ১৩৮৭৬ কোটি টাকা
টিএমএ রিপোর্ট
চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে সিঙ্গাপুর থেকে পাঁচটি প্যাকেজে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আনতে জাহাজ ভাড়া নির্ধারণ করেছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে এ তেল আমদানি করতে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আগামী জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্র পক্রিয়ার মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়ে প্রতি ছয় মাস পর পর অনুমোদন নেয়া লাগে। যেটা জুন মাসে শেষ হয়ে যাবে। পরবর্তী জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্রুত কোটেশন পদ্ধতিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি যেন সম্ভব হয়, সে জন্য একটি প্রস্তাব উপস্থাপিত হলে তার অনুমোদন দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এখানে নেগোসিয়েশন হয়েছে জ্বালানি তেলের প্রিমিয়ামের ওপর। জ্বালানি তেলের মূল্য কিন্তু যখন কিনবে, জাহাজীকরণের আগের দুই দিন বা পরের দুই দিন এবং জাহাজীকরণের দুই দিন যে মূল্য থাকে আন্তর্জাতিক বাজারে, সেটাকে এভারেজ বা গড় করে মূল্যে নির্ধারণ করা হয়। আর আজ যেটা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা হলো জাহাজের ভাড়া বা পরিবহন খরচ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সচিব বলেন, জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্যাস অয়েল, জেট-এ, ফার্নেস অয়েল, মোগ্যাস এবং মেরিন ফুয়েল আনবে জাহাজগুলো। এতে ছয় মাসে জাহাজ ভাড়া পড়বে ১৩ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। যখন জ্বালানি তেল আনা হবে, তখন আলাদাভাবে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। আজ শুধু পাঁচ প্যাকেজে যে তেল আমদানি করা হবে, সেগুলো আনতে যে জাহাজ ভাড়া লাগবে সেটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির লক্ষ্যে ৫টি প্যাকেজে বিভক্ত করে আন্তর্জাতিক কোটেশন আহ্বান করা হয়। সাতটি প্রতিষ্ঠান থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের ইউনিপেক সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড এবং ভিটল এশিয়া প্রাইভে লিমিটেড থেকে ১৫ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস অয়েল ১০ লাখ মেট্রিক টন, জেট-এ-১ ২ লাখ মেট্রিক টন, ফার্নেস অয়েল ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন, মোগ্যাস ১ লাখ মেট্রিক টন এবং মেরিন ফুয়েল ৩০ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করা হবে।