এমন প্রকল্প আমার হাত দিয়ে গেছে যাতে মনেপ্রাণে একমত নই: এম এ মান্নান
বাজেট কোথায় ব্যয় হয়, সেখান থেকে জনগণ কী পাচ্ছে— তা বিচার করা দরকার বলে মনে করেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বাজেট সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
এম এ মান্নান বলেন, এমন প্রকল্প আমার হাত দিয়ে গেছে বা যাচ্ছে যেগুলোর সঙ্গে আমি মনেপ্রাণে একমত নই। আমরা বাস করি ভূ-তলে, বিনিয়োগ করি পাতালে। এটা আমার নিজের বক্তব্য। আমি সরকারের অংশ এই মুহূর্তে নই। রাজনৈতিকভাবে দলে ও সংসদে আছি। সাধারণ মানুষ ও গ্রামীণ এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছি। আমরা গ্রামে বিদ্যুৎ পেয়েছি, কমিউনিটি ক্লিনিক পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী এসব দিয়েছেন। কৃষিতে আমাদের বিশাল অর্জন হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে ১০ বছরের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, বাজেটে কোথায় ব্যয় করছি, সেখান থেকে আমরা কী পাচ্ছি— এসব বিচার করা দরকার। আদৌ কোনো রিটার্ন পাচ্ছি কি না, দেখা দরকার। আমরা বাস করি ভূ-তলে, বিনিয়োগ করি পাতালে। এই প্রবণতা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন, আমি প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত ছিলাম প্রায় ১০ বছর। আমার অনেক ব্যক্তিগত আপত্তি আছে। যেহেতু আমি টিম ওয়ার্কার, ক্যাপ্টেন, আমার দলের জন্য মানা উচিত, না হলে আমি আছি কেন দলের সঙ্গে। রাজনৈতিকভাবে বৃহত্তর অর্থে আমি তার সঙ্গে আছি। বাট এখানে ফাঁকফোকরে কোনো কোনো জায়গায় আমার ভিন্নমত অবশ্যই আছে।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি আমাদের কষ্ট দেয়। কিন্তু আমার কমনসেন্স বলছে, আমাদের মূল্যস্ফীতি লতানো (ক্রিপিং), পায়ে পায়ে এগুচ্ছে। আমার মনে হয় প্রবৃদ্ধির একটা বাই প্রোডাক্ট এই মূল্যস্ফীতি। একটাকে ছেড়ে আরেকটা করা যাবে না। প্রবৃদ্ধি না করলে আমাদের জীবনযাত্রার মান নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে যাবে। কিন্তু আমাদের সব কিছু নেমে আসবে। এই ঝুঁকি আমাদের নিতে হবে। বড় অর্থনীতির দেশগুলো এই প্রক্রিয়ার মাঝখান দিয়ে গেছে।
স্বাগত বক্তব্যে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো ও বৈদেশিক মুদ্রা অবনবন সেটা ধরে রাখার চেষ্টা, এই দুই ব্যাপারে বাজেটে তেমন একটা পদক্ষেপ দেখিনি। বাজেটে অর্থনৈতিক সূচক গুলোতে যেই লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে; এই লক্ষ্যমাত্রা গুলো বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাস্তবায়নযোগ্য না।