প্রকৌশলীরা ২৩ দেশে সরাসরি চাকরির আবেদন করতে পারবেন

প্রতীকী ছবি

ওয়াশিংটন অ্যাকর্ডের সিগনেটরি স্বীকৃতি লাভ করায় দেশের প্রকৌশল শিক্ষার মানোন্নয়নে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) আন্তর্জাতিকভাবে সনদ প্রদান ও মনিটরিং করার ক্ষমতা পেয়েছে। এর ফলে এখন থেকে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়াররা বিশ্বব্যাপী অন্যান্য দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের মতো সমানতালে সমান বেতনে কাজ করার সুযোগ পাবেন। দেশের প্রকৌশলীরা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রসহ ২৩ দেশে চাকরির আবেদন করতে পারবেন।

এ বিষয়ে আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, ‘আগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কিংবা জার্মানির ইঞ্জিনিয়াররা ১০ লাখ টাকা বেতনে চাকরি পেলে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়াররা পেত ৫ লাখ টাকা। এখন থেকে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়াররা একই পরিমাণ বেতন দাবি করতে পারবে। এর ফলে বিদেশে আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা তাদের কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে।

এর আগে গত বুধবার আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র জাতীয় পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান আইইবি বহুল প্রতীক্ষিত ওয়াশিংটন অ্যাকর্ডের পূর্ণ সিগনেটরি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। নয়াদিল্লিতে আন্তর্জাতিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্মেলনের বার্ষিক সভায় বিশ্বের ২৩টি স্বাক্ষরকারী দেশ সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্তটি অনুমোদন করেছে। এই অর্জন দেশের প্রকৌশলীদের অর্জন। এই অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রকৌশলীদের মেধা, মনন, দক্ষতার সুবিস্তৃত বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাবে। দেশের প্রকৌশল শিক্ষা এবং পেশার উন্নয়নে আইইবি বদ্ধ পরিকর। 

আইইবির মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু ওয়াশিংটন অ্যাকর্ডের স্বীকৃতি লাভ করা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। 

ওয়াশিংটন অ্যাকর্ড হল স্নাতক পেশাদার প্রকৌশল একাডেমিক ডিগ্রি এবং স্নাতকোত্তর পেশাদার ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমিক ডিগ্রিগুলির জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চুক্তি। ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সম্পূর্ণ স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, কোস্টারিকা, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, পেরু, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।