স্বস্তিতে চামড়ার আড়তদাররা
কোরবানির সময়টায় বৈরী আবহাওয়া থাকলে চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে এবার কোরবানির দিন বৃষ্টিমুক্ত দিন পেয়েছে রাজধানীবাসী। আর এমন আবহাওয়া পেয়ে স্বস্তিতেই কাজ গুছিয়ে নিয়েছেন ঢাকার আড়তদাররা। তবে অপেশাদার কসাইয়ের হাতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হতে পারে বলে ধারণা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের। তাদের দাবি, এর বেশি চামড়া নষ্ট হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এই খাতে।
জানা যায়, অতিরিক্ত গরম ও অতিবৃষ্টির প্রভাবে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ কঠিন হয়ে পড়ে। পশু জবাইয়ের ৬-৮ ঘণ্টার মধ্যে চামড়া লবণজাত করা না হলে তা নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে।
এবার রাজধানীতে ঈদের দিন ও পরের দিন বৃষ্টি না হওয়ায়, সবচেয়ে বড় আড়ত পোস্তায় চামড়া সংরক্ষণ হয়েছে সুষ্ঠুভাবে। আড়তদাররা জানান, সময়মতো লবণজাত করতে পারায় নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা নেই।
আড়তদাররা বলেন, এবারে আবহাওয়া ভালো, বৃষ্টি হয়নি। তবে গরম অনেক বেশি। গরমে চামড়া নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও লবণ ঠিক সময়ে দেওয়ার কারণে সেই ঝুঁকি কমে গেছে অনেকাংশেই। সেকারণে আমরা এবার ভালোভাবে চামড়া সংরক্ষণ করতে পারছি। এবার কোনো চামড়া নষ্ট হয়নি বলেও জানান আড়তদাররা।
তবে অদক্ষ হাতে ছাড়ানোর কারণে অনেক সময় চামড়া নষ্ট হয়। সে হিসেবে এবার ৫ থেকে ১০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হতে পারে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের।
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আফতাব খান বলেন, ‘দ্রুত লবণজাত করায় চামড়ার গুণগত মানও ভালো থাকবে। চামড়া নষ্টও অনেক কম হবে। ১০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হলেও তা সহনশীল। এর বেশি হলে ক্ষতি হয়ে যাবে।’
রাজধানীর পোস্তায় এবার ১ লাখের বেশি কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য পূরণ হবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। এরই মধ্যে লক্ষ্যের ৭০ শতাংশের বেশি পূরণ হয়েছে।
আজ বুধবার ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, দুই দিনে সারা দেশে ৮০ লাখ পিস গরু-ছাগলের চামড়া সংগ্রহ হয়েছে। যা মোট কোরবানির ৭০ শতাংশ।