‘লোডশেডিং ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে শিল্প কারখানা বসে যাচ্ছে’
লোডশেডিং এবং জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে অনেক শিল্প কারখানা বসে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ।
আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীতে ব্রাক ইন সেন্টারে সিপিডি আয়োজিত বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং-এর কারণে কারখানা সচল রাখতে উচ্চমূল্যের ডিজেল ব্যবহার বাড়ছে। এতে কারখানার উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক কোম্পানি বসে গেছে।
এ কে আজাদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে কারখানার যন্ত্রপাতি, কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্যের আমদানি সবমিলিয়ে ৪৬.৬৮ শতাংশ কমেছে গত বছরের তুলনায়। সামগ্রিকভাবে কমেছে সরকারের রাজস্ব আয়। গতবার এনবিআর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। এবার ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সেটা পূরণ করা সম্ভব না। এনবিআর চেয়ারম্যান নিজে এটা স্বীকার করেছেন। এভাবে চললে বিদ্যুৎ খাতে বাজেটে যে ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে সেটা আদৌ সরকার দিতে পারবে কি-না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা দেশের উন্নয়নে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের বিকল্প নেই। এজন্য সরকারের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দরকার।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. ম তামিম, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম প্রমুখ।