নতুন গভর্নর খুঁজছে সরকার
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর খুঁজছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত শুক্রবার গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। তাঁর পদত্যাগপত্র গতকাল রোববার কার্যকর করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এর আগে তিন ডেপুটি গভর্নর পদত্যাগ করেন। তাঁদের জায়গায় নতুন ডেপুটি গভর্নর খোঁজা হচ্ছে কি না, তা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর চারজন। এর মধ্যে তিনজন কাজী ছাইদুর রহমান, খোরশেদ আলম ও হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মচারীদের বিক্ষোভের মুখে সাদা কাগজে ‘পদত্যাগ করলাম’ লিখে গত বুধবার পদত্যাগ করেন। ওই দিন অবশ্য সাদা কাগজে পদত্যাগ করেননি আরেক ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার।
নিয়মিত গভর্নরের অনুপস্থিতিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গতকাল এক চিঠিতে দৈনিক ডাক দেখার দায়িত্ব দিয়েছে ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহারকে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘নতুন গভর্নর যোগ দেওয়ার আগপর্যন্ত দৈনন্দিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদন করবেন।’ গতকালের চিঠিতে পদত্যাগকারী তিন ডেপুটি গভর্নরকেও কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে ডেপুটি গভর্নর নিয়োগে গতকাল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ একটি সার্চ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিল। পরে কিছুটা পিছিয়ে এসেছে বলে সূত্রগুলো জানায়। সূত্রমতে, বর্তমান ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগ যথানিয়মে হয়নি। ফলে সরকারের বিবেচনায় তাঁরা এখনো ডেপুটি গভর্নর।
জানা গেছে, গভর্নর নিয়োগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের কাছ থেকে। আর ডেপুটি গভর্নর নিয়োগে সার্চ কমিটি হতে পারে গভর্নর নিয়োগের পর।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে এক মতবিনিময় সভার পর গতকাল রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থ উপদেষ্টা জানান, এখন গভর্নর নিয়োগের বিষয়ে তিনি চিন্তিত। শিগগির গভর্নর নিয়োগ দেওয়া হবে।
গভর্নর নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন মানদণ্ড বিবেচনা করা হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, গভর্নর না থাকলেও ডেপুটি গভর্নররা কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। পেমেন্ট সিস্টেমের জন্য তো গভর্নরের দরকার হয় না।