জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতির নতুন রেকর্ড
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে জুলাই মাসজুড়ে আন্দোলন করেছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে করে দেশে এক ধরনের অচলাবস্থা দেখা যায়। ফলে ঢাকা কার্যত দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ছিল, বন্ধ ছিল পণ্যের সরবরাহ। এর ফলে জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১৪.১০ শতাংশ। দেশের ইতিহাসে এইভাবে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি আর দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২.৫৪ শতাংশ হয়; যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। এর আগে, খাদ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল ২০১১ সালের অক্টোবরে- ১২.৮২ শতাংশ।
সোমবার (১২ আগস্ট) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতি নিয়ে চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিবিএসের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। গত মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.৪২ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া দ্য মিরর এশিয়াকে বলেন, আগস্ট মাসে সরকারের সহিংসতা এবং শাটডাউনের জন্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। আশা করছি, এখন পুলিশ আর আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ার কারণে নিত্যপণ্যের মূল্য খুব দ্রুত কমে আসবে।
এছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দামও বেড়েছে। জুলাই মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৬৮ শতাংশ, জুন মাসে যা ছিল ৯.১৫ শতাংশ।
জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১১.৬৬ শতাংশ হয়। আগের মাসে যা ছিল ৯.৭২ শতাংশ। আন্দোলনের ফলে তিন খাতেই বেড়েছে মূল্যস্ফীতির হার।