কোনো ব্যাংককে ‘বেআইনি তারল্য সহায়তা’ দেবে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক
এখন থেকে শরীয়াহসহ কোনো ব্যাংককে বেআইনিভাবে তারল্য বা অন্য কোনো সুবিধা-সহায়তা দেবে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন যদি আমানতকারীরা এস আলমের দখল করা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায়, সেটি তাদের কর্মের ফল। আমাদের কিছু করার নেই। কারণ আমানতকারীরা কে কোথায় টাকা রাখবে, সেটি তাদের অধিকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এসব কথা বলেন।
ব্যাংক খাতে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কি না? জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে সেটি হবে অনিয়মে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে, তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়। কারণ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেক কর্মসংস্থানের বিষয় জড়িত। সেখানে অনেক লোক কাজ করেন।
এস আলমের দখল করাসহ অন্যান্য দুর্বল ব্যাংকগুলোর পর্ষদ ভাঙার বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্বল ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বা তাদের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন। তবে, হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, এনপিএল (খেলাপি) নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে যেতে চাই। ব্যবসায়ীরা এটা করতে একটু সময় চেয়েছেন, তাদের দাবির ফলে প্রভাব পড়বে রপ্তানি-আমদানিতে। আমরা বলেছি এটা নিয়ে আইএমএফের সাথে আলোচনা করব, তবে, আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে যাব এতে সন্দেহ নেই।
সরকারি ব্যাংকের অস্থিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অস্থিরতা দুর্ভাগ্যজনক।
১০০০ টাকার নোট বাতিলের বিষয় গভর্নর জানান, ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কোনো সিদ্ধন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নেই।
বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দেওয়া ও নতুন গভর্নরের সই করা নোট শিগগিরই আসবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে এইচ মনসুর বলেন, যখন টাকশালে নোট বানানোর প্রয়োজন হবে তখন নোট ছাপানো হবে, সই যাবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে গভর্নর বলেন, মূল্যস্ফীতি ৬/৭ মাসের মধ্যে কমে আসবে। মুদ্রানীতি খুব পরিবর্তন না হলেও একটু টাইট করা হবে। মুদ্রাবাজার এখন ভালো অবস্থানে যাচ্ছে। ডলার ১২৫ টাকায় গেলেও এখন কমে ১২০/১২১ টাকায় এসেছে।