পাচার অর্থ ফেরত আনাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বড় সংকল্প হচ্ছে বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরত এনে দেশের জনগণের উপকারে বিনিয়োগ করা।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুরমায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারা কুকের বৈঠক হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান প্রেস সচিব।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, আপনারা জানেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গে রিপোর্ট হয়েছে অনেকের যুক্তরাজ্যে বাড়ি আছে। এই সরকারের বড় পদক্ষেপ হচ্ছে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা। সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। কারণ ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কোন সরকার ছিল না। ৮ আগস্ট থেকে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ শুরু করে। হতে পারে সব কিছুই তাদের পরিকল্পনায় আছে। এই জন্য সরকারকে সময় দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের পাচারকৃত টাকা সুনির্দিষ্ট নামের বিষয় না। বাংলাদেশ থেকে যখনই টাকা পাচার হয়ে চলে গেছে, এটা ব্রিটেনে হতে পারে, অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হতে পারে। সেফ মনে করে এমন অনেক জায়গায় টাকা পাচার হতে পারে। আমরা বেগম পাড়ার কথা শুনেছি।
শফিকুল আলম বলেন, দেশ থেকে যেই টাকা যাক কেন, সেই টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ এবং অর্থনীতি থেকে চুরি করা টাকা। সেই চুরি হওয়া টাকা দেশের বাইরে পাঠিয়েছে এই দেশের নাগরিকরা। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং মানুষের চুরি হওয়া টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফেরত নিয়ে আসা। সেই টাকাটা বাংলাদেশের জনগণের উপকারে কাজে লাগে।
তিনি আরো বলেন, আপনার দেখেছেন নাইজেরিয়া থেকে পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফেরত নিয়ে এসেছে সেই দেশের সরকার। কিন্তু এই টাকা ফেরত নিয়ে আসতে অনেক সময় লেগেছে।