তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে ৪.৩৪ শতাংশ

তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে ৪.৩৪ শতাংশ

তৈরি পোশাকের (আরএমজি) কম চালানের কারণে ২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের সামগ্রিক রফতানি বছরে ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমেছে, যা দেশের শিল্প কার্যক্রম এবং অর্থনীতিতে মন্থরতা প্রতিফলিত করে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশের রফতানি আয়ের পরিমাণ আগের অর্থবছরে ছিল ৪৪ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন যখন ২০২৩ অর্থবছরে এর পরিমান ছিল ৪৬ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর দেওয়া রফতানি পরিসংখ্যান তারা সংকলন করেছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এখনো ২০২৪ অর্থবছরের সম্পূর্ণ রফতানির তথ্য প্রকাশ করেনি। জুলাই মাসে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এ সংস্থা জানিয়েছিল যে তারা সঠিক প্রতিবেদন নিশ্চিত করতে তিন মাসের জন্য পরিসংখ্যান হালনাগাদ করা থেকে বিরত থাকবে।

দেশের অর্থপ্রদানের ভারসাম্য (বিওপি) ইপিবি প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার কম দেখানোর পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ বিওপিতে, বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে যে রফতানি মূল্য, যা বিওপি-র জন্য ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) ভিত্তিতে গণনা করা হয়, ২০২৪ অর্থবছরে তা ৪০ দশমিক ৮ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে, যা বছরে প্রায় ৬ শতাংশ হারে কমেছে।

যখন পণ্যগুলি একটি এফওবি ভিত্তিতে পাঠানো হয়, তখন পণ্যের দায় এবং মালিকানা ক্রেতার উপর বর্তায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সামগ্রিক রফতানি গণনা করার সময় তারা এফওবি পদ্ধতি ব্যবহার করে না বলেই এমনটি হয়েছে। এ কারণেই সর্বদা বিওপিতে ব্যবহৃত রফতানি পরিসংখ্যান এবং সামগ্রিক রফতানির মধ্যে একটি ব্যবধান রয়েছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নবনির্বাচিত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, অভ্যন্তরীণ তথ্য অনুযায়ী ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে তাদের রফতানি নেতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর পর ব্যবসার গতি কমে যায় কারণ পশ্চিমে কাপড় চোপড়ের চাহিদা কমে যায়। এর কারণ হলো তাদের কাছে পূর্বে পাঠানো পণ্যের মজুদ ছিল। তাই ক্রেতারা কেনাকাটা বন্ধ করে দেয়।

তিনি আরো বলেন, ক্রেতারা সাধারণত জুলাই ও আগস্ট মাসে অর্ডার দেয়, কিন্তু সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের কারণে রাজনৈতিক পরিবর্তন হওয়ায় তারা সতর্ক হয়ে গেছে। তবে আশার বিষয়, আমরা উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি। সুতরাং, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই বছর রফতানি ইতিবাচক হতে পারে।

দেশের রফতানি খাতে চতুর্থ বৃহত্তম আইটেম, হোম টেক্সটাইলের রফতানি ২০২৪ অর্থবছরে এসে ৭৮২ মিলিয়ন ঘরে এসেছে যা ২০২৩ অর্থবছরে ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ছিল।

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৃতীয় বৃহত্তম রফতানি পণ্য, গত বছর রফতানি আয়ে ১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন রেকর্ড করেছে। এটি ২০২৩ অর্থবছরে এসে ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন হয়েছে।