খেলাপি ঋণ ছাড়াল ২ লাখ কোটি টাকা
আর্থিক খাতের বিষফোঁড়া খেলাপি ঋণ ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে। এই ফোঁড়া নিরাময়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উল্টো বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ঋণখেলাপিদের নানা সুবিধা দিয়ে এসেছেন। ফলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়েছে খেলাপি ঋণ।
২০২৪ সালের জুন শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। যা মোট ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় তখন দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ছিল মাত্র ২২,০০০ কোটি টাকা। একই বছরের মার্চ মাসের তুলনায় খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ শতাংশ। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হালনাগাদ বিবরণী থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত মার্চের শেষে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৯ শতাংশ।
খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। পাশাপাশি খেলাপি হওয়া সুদ যুক্ত হওয়ার কারণেও খেলাপি ঋণ বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাংকগুলোতে তদারকি বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যবেক্ষক ও সমন্বয়ক কাজ করছে।
এ. বি. মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশের খেলাপি ঋণ কমাতে হলে বড় খেলাপিকে ধরতে হবে। যেমন এস আলমকে ধরতে হবে। এদের থেকে টাকা আদায় করতে না পারলে কোনভাবেই খেলাপি কমানো যাবে না।