মালিক-শ্রমিক বৈঠক, পোশাক শিল্পে স্বস্তি ফেরার আশা
গত কয়েক দিন ধরে দেশের পোশাক শিল্পে চলছে চরম অস্থিরতা। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে বন্ধ রয়েছে বেশ কিছু কারখানা। সরকার ও প্রশাসন নানা উদ্যোগ নিয়েও পোশাক শিল্পের এই বিশৃঙ্খলায় লাগাম টানতে পারছে না। এর পেছনে বহিরাগতদের দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই অবস্থায় পোশাক খাতের চলমান অস্থিরতা নিরসনে বৈঠক করেছে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ। সেখান তারা পোশাক শিল্পের অস্থিরতা দূর করতে সার্বিক আলোচনা করেছেন।
উভয় পক্ষের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) খুলবে দেশের সব পোশাক কারখানা। আর শ্রমিকদের যে দাবি-দাওয়া আছে সব পূরণের আশ্বাস দিয়েছে মালিকপক্ষ। পর্যায়ক্রমে সেগুলো পূরণ করা হবে। এতে পোশাক শিল্পের চলমান অস্থিরতা দূর হয়ে এই খাতে স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করছে উভয় পক্ষই।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুরের রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। পরে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে শ্রমিক নেতারা বলেন, তাদের দাবি যৌক্তিক হলেও এর সমাধান আন্দোলন নয়। দেশের ক্রান্তিকালে শিল্প টিকিয়ে রাখা মূল চ্যালেঞ্জ। কারণ শিল্প না বাঁচলে অনেক শ্রমিক কর্মহীন হবেন এবং দেশের অর্থনীতি ক্ষতির মুখে পড়বে।
নেতারা বলেন, অনেক দাবি মালিকরা মেনে নিয়েছেন। কিছু দাবি মালিক পক্ষ মেনেছে বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ্বাস পাওয়া গেছে। বাকিগুলো লিখিত দিলে আলোচনা করে সমাধান হবে। তাই আন্দোলন ছেড়ে শ্রমিকদের উচিত কাজে যোগ দেওয়া।
এ সময় সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়, যেমন ছাঁটাই হবে না কোনো শ্রমিক, তেমনি জানানো হয় মেনে নেওয়া হবে তাদের যৌক্তিক দাবি। তাই দাবি আদায়ে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
এ সময় কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামও। তিনি বলেন, শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে। আশুলিয়া এবং গাজীপুরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা এবং টহল বাড়ানো হবে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক সুবিধা পেলে সবচেয়ে খুশি হবেন মালিকরা। কারাখানা চালুর সঙ্গে শ্রমিকদের দাবি মানার প্রক্রিয়াও চালু থাকবে।