চাল আমদানির অনুমতি চায় খাদ্য মন্ত্রণালয়

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য জি টু জি পদ্ধতির মাধ্যমে ৩ লাখ মেন্ট্রিক চাল আমদানি করবে সরকার। এ ছাড়া উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ২ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে।

চালের সংকট যেন না হয়, এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকার এ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। এ জন্য বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল কেনার প্রস্তাব উত্থাপন করবে।

চলতি অর্থ বছরে মোট ২২ দশমিক ৭৩ লাখ মেট্রিক চালের চাহিদার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১৯ দশমিক ২৩ লাখ চাল সংগ্রহ করার প্রস্তাব করা হয়েছে । বাকি চাল আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা হবে।

তবে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে চাল-গম মিলিয়ে মোট মজুত ধরা হয়েছে ১৬ লাখ ২৯ হাজার মেট্রিক টন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের খাদ্য হিসাবের সংক্ষিপ্তসার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আগামী অর্থবছরে মোট সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ৭ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এতে করে ১০ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল-গম আমদানিতে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ১১ লাখ মেট্রিক টন, যাতে মোট ব্যয় হয়েছিল ৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা।

আমদানির বিপরীতে আগামী অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১৯ লাখ ২৩ হাজার চাল সংগ্রহ করা হবে। এর পাশাপাশি গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার মেট্রিক টন। অভ্যন্তরীণ এ সংগ্রহে সরকারের খরচ হবে ৮ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ছিল ৯ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।

আগামী অর্থ বছরে বাৎসরিক চালের মজুত ধরা হয়েছে ৯ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন যা ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে ছিল ১১ লাখ ২ হাজার মেট্রিক টন। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে চাল-গম মিলিয়ে মোট মজুত ধরা হয়েছে ১৬ লাখ ২৯ হাজার মেট্রিক টন, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ১৬ লাখ ৭৬ হাজার মেট্রিক টন।