ইমাম বাটনের শেয়ার কারসাজি, ১ কোটি টাকা জরিমানা
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ এস এম হাসিব হাসানকে শেয়ার লেনদেন কারসাজির দায়ে ১ কোটি টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র ফারহানা ফারুকী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইমাম বাটনের শেয়ারের লেনদেনে কারসাজি করার কারণে এ এস এম হাসিব হাসানকে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করার কারণে ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, শেয়ারের দাম বাড়াতে কোম্পানিটি মাছ ব্যবসা ও ট্যানারি ইউনিট নিয়ে মিথ্যা ডিসক্লোজার দেয়। শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বাড়লে সেই সুযোগে নামে বেনামে থাকা বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম হাসিব হাসান।
১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজের প্রকৃত মালিক চট্টগ্রাম ভিত্তিক ইমাম গ্রুপ। যার মালিক মোহাম্মদ আলীর হাতে ইমাম বাটনের ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ এবং তার স্ত্রী জেবুন্নেসা আকতারের হাতে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার আছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইমাম গ্রুপের ৮০০ কোটি টাকারও বেশি খেলাপি ঋণের কারণে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা ৫৫ মামলায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে সস্ত্রীক দেশ ছেড়ে পালান মোহাম্মদ আলী। তার পর থেকেই কারখানা বন্ধ।
এমন পরিস্থিতিতে বাজার থেকে নিজের নামে ২ শতাংশ এবং হামি অ্যান্ড কোং এর নামে আরও দুই শতাংশ শেয়ার কিনে ২০২২ সালের অক্টোবরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসইসিতে ইমাম বাটনের মালিকানা পরিবর্তনের আবেদন করেন এএসএম হাসিব হাসান।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আগের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ সগির হোসেন খন্দকারকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয় বিএসইসি। এএসএম হাসিব হাসান নিয়োগ পান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে। আর ইমাম বাটনের নাম পরিবর্তন করে করা হয় হামি ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। বর্তমানে এই নামেই কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে রয়েছে।