চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলার সহায়তা দিতে পারে বিশ্বব্যাংক
স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও গুরুত্বপুর্ণ প্রকল্পে বাজেট সহায়তাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরে (অর্থবছর ২৫) বাংলাদেশের জন্য ২ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি সহায়তা দিতে পারে। আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ বিভাগে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার এ কথা জানান।
সম্ভাব্য নতুন সহায়তার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে উল্লেখ করে মার্টিন বলেন,‘আমি এখনই তাদের হয়ে মন্তব্য করতে পারি না এবং তারা এটি ভালভাবে নেবেনা, আমি যা বলতে পারি, আমরা দেখছি আইডিএ (আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা) থেকে পাওয়া তহবিল থেকে আমরা বাংলাদেশের জন্য কোন কতটা সংস্থান সংগ্রহ করতে পারি। আমরা এই অর্থবছরের জন্য ২ বিলিয়নের চেয়ে সামান্য বেশি অঙ্কের দিকেও দৃষ্টি রাখছি যাতে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত চলে।’
মার্টিন বলেন, ‘সুতরাং যখনই প্রকল্পগুলো প্রস্তুত হয় তখনই আমরা আলোচনা করছি যাতে অর্থ সরবরাহ করা যায়।’
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, কিছু পরিমাণ অর্থ নিশ্চিতভাবে বাজেট সহায়তা হবে এবং কিছু অর্থ স্বাস্থ্য, জ্বালানি খাতে এবং যেখানে অর্থায়ন প্রয়োজন সেখানে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের জন্য।
এছাড়াও মার্টিন বলেন, বাংলাদেশে ৯০০ কোটি ডলারের বিদ্যমান প্রকল্প রয়েছে যা এখনো ছাড় দেওয়া হয়নি। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ এবং এই পরিমাণের কিছু আমরা আরও জরুরি প্রয়োজনের জন্য পুনরায় প্রস্তাব করতে পারি। সুতরাং,মোট সহায়তার পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দেশের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় উল্লেখ করে মার্টিন বলেন, ব্যাংকিং খাতে অর্থনৈতিক সংস্কার এবং রাজস্ব উৎপাদনের জন্য সংস্কারের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা তাকে অবহিত করেছেন।
তিনি বলেন,‘বিশ্বব্যাংক এ প্রচেষ্টাকে সহায়তা করার জন্য কী করতে পারে, আমরা সেটা আলোচনা করেছি। বিশ্বব্যাংক একদম শুরু থেকেই বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার।’
ঋণদানকারী সংস্থাটির সবচেয়ে বড় ক্লায়েন্টদের মধ্যে বাংলাদেশ একটি এ কথা উল্লেখ করে মার্টিন বলেন, ‘আমরা সেই চমৎকার অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে চাই।’ মার্টিন রাইজার দুই দিনের সফরে গতকাল রাজধানীতে এসেছেন।