এস আলমের সম্পদের তথ্য চেয়েছে সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা
দেশের ব্যাংকখাত থেকে জালিয়াতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে এস আলম গ্রুপ ও এর মালিকদের দেশে-বিদেশে থাকা সম্পদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ- বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে তারা এস আলম গ্রুপ ও এর মালিকদের দেশে-বিদেশে থাকা সম্পদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে। বিএফআইইউ’র একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট থেকে সম্প্রতি তাদের সঙ্গে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থাকে পাঠানোর জন্য বিএফআইইউ এস আলম গ্রুপের বিস্তারিত তথ্য প্রস্তুত করছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে কিছু প্রতিবেদনের পর সিঙ্গাপুরসহ এস আলম গ্রুপের বিদেশি সম্পদ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
গ্রুপটি বাংলাদেশের ছয়টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এসব ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারায় তারা। এস আলমের হাতে থাকা ব্যাংকগুলোর বোর্ড পুনর্গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ কোটি টাকারও বেশি ঋণ নেয়ার অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। বিপুল এই খেলাপি ঋণ ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি করে।
এর আগে একটি দৈনিক পত্রিকার অনুসন্ধানে সিঙ্গাপুরে এস আলম গ্রুপের অন্তত ৭৩০ মিলিয়ন (৭৩ কোটি) ডলার বিনিয়োগ থাকার বিষয়টি সামনে আসে। সেখানে হোটেল, কমার্শিয়াল স্পেস ও আবাসন খাতে এসব বিনিয়োগ করা হয়েছে।
অর্জিত সম্পত্তির মধ্যে তিনটি হোটেল রয়েছে: লিটল ইন্ডিয়ার গ্র্যান্ড ইম্পেরিয়াল হোটেল সিঙ্গাপুর, যা প্রায় ২৪৮ মিলিয়ন সিঙ্গাপুরিয়ান ডলারের বিনিময়ে হিল্টন গার্ডেন ইন হিসাবে পুনরায় ব্র্যান্ডিং করা হয়েছিল; সেরাঙ্গুনে হলিডে ইন এক্সপ্রেস প্রায় ৯০ মিলিয়নে; এবং ১৭০ মিলিয়নে সিঙ্গাপুরের নোভেনা এলাকায় ইবিস নোভেনা হোটেল।
এছাড়াও, তিনি ১৩৫ মিলিয়ন সিঙ্গাপুরিয়ান ডলারে লিটল ইন্ডিয়ার সেন্ট্রিয়াম স্কয়ারে ২৭,১৭৯ বর্গ-ফুট জায়গা কিনেছেন।