প্রবাসীরা পাবেন ১০ লাখ টাকার ঋণ

প্রবাসীদের আর্থিক ভিত্তিকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়মে একজন প্রবাসী ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।

এই ঋণ প্রবাসীরা ইচ্ছামত প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করতে পারবেন। এতদিন শুধুমাত্র উচ্চ আয়ের প্রবাসীরা গৃহনির্মাণে কাজে স্বল্প পরিমাণ ঋণ পেতেন।

কিন্তু নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদের হার নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি ক‌রে‌ছে। সার্কুলারে বলা হয়, যেসব বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে রয়েছেন (প্রবাসী) তারাই কেবল এই ঋণের জন্য বিবেচিত হবেন। আর বৈধভাবে পাঠানো রেমিট্যান্সের ভিত্তিতে ঋণ পাওয়ার যাবতীয় বিষয় নির্ধারণ করা হবে।

প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার বিধান রাখা হয়েছে। আর ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে দেশের ব্যাংকিং নীতিমালার প্রচলিত ধারা মেনে চরার জন্য বলা হয়েছে।

সূত্র জানায়, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা অধিক পরিমাণে জনশক্তি পাঠানোর জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) অধীনে বর্তমানে ১০৪টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ছয়টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিসহ মোট ১১০টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫৫টি কর্মসংস্থান উপযোগী স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৬০ জন।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পৃথক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, আমদানি পন্য পরিবহনের ব্যয় মেটাতে ব্যাংকগুলোকে উদাসীনতা দেখাতে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি সব এডিকে পরিবহন খরচ বকেয়া না করতে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অপর নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশ দেয় যে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেল কলেজ কিংবা কোনো অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সফটওয়ার এবং ক্লাউড সেবা বাবাদ বার্ষিক ফি বা চাঁদা কিংবা চার্জ ৩ হাজার ডলার থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৫০০ ডলারের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারন করা হবে।