বিজিএমইএ পরিচালনা করতে ১০ সদস্যের সহায়ক কমিটি গঠন

বিজিএমইএ পরিচালনা করতে ১০ সদস্যের সহায়ক কমিটি গঠন

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিচালনা করতে সহায়ক কমিটি গঠন করেছে সংগঠনটিতে নিযুক্ত সরকারের প্রশাসক। এতে সংগঠনের নির্বাচন কেন্দ্রিক জোট সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের পাঁচজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সহায়ক কমিটিতে স্থান পাওয়া সম্মিলিত পরিষদের পাঁচ সদস্য হলেন— ক্ল্যাসিক ফ্যাশন কনসেপ্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শহিদউল্লাহ আজিম, মিসামি গার্মেন্টসের এমডি মিরান আলী, উর্মি গার্মেন্টসের এমডি আসিফ আশরাফ, এম এস ওয়্যারিং অ্যাপারেলসের এমডি আ ন ম সাইফুদ্দিন ও শাশা গার্মেন্টসের এমডি শামস মাহমুদ। পাঁচজনই বিভিন্ন সময় বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন।

আর সহায়ক কমিটিতে স্থান পাওয়া ফোরামের প্রতিনিধিরা হলেন— অনন্ত ক্লথিংয়ের এমডি এনামুল হক খান, ক্লিফটন ফ্যাশনের পরিচালক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সফটেক্স কটনের এমডি রেজওয়ান সেলিম, এমিটি ডিজাইনের এমডি মো. শিহাবুদ্দোজা এবং অনন্ত অ্যাপারেলসের এমডি শরীফ জহির।

সহায়ক কমিটি গঠনের অফিস স্মারকে বলা হয়েছে, বাণিজ্য সংগঠন আইনের আলোকে বিজিএমইএর দায়িত্বে থাকা প্রশাসককে তার কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করতে সংগঠনটির সদস্যদের সমন্বয়ে এ সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ অক্টোবর বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক বাণিজ্য সংগঠন) মো. আবদুর রহিম খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।

ওই আদেশে বলা হয়, বিজিএমইএ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি নিবন্ধিত বাণিজ্য সংগঠন। সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এস. এম. মান্নান (কচি) পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগ করেছেন এবং গত ২৪ আগস্ট পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠিত হলেও পরিচালনা পর্ষদ গঠন প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ ছিল। সাধারণ সদস্যদের উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধিরা সন্তোষজনক জবাব উপস্থাপন করতে পারেননি।

এতে আরও বলা হয়েছে, পোশাক শিল্পের চলমান অস্থিরতা ও শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং বিজিএমইএর পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। বর্তমান পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয়হীনতার কারণে বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ এর ১৭(১) অনুযায়ী ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতের স্বার্থে সংগঠনটির সার্বিক কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। বিজিএমইএর সব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ ও চলমান অস্থিরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২, বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা, ১৯৯৪, সংগঠনের সংঘস্মারক ও সংঘবিধি অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া আবশ্যক। তাই বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ এর ১৭ ধারা মোতাবেক সংগঠনটির পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হয়েছে।

সবশেষে নতুন প্রশাসক নিয়োগের ব্যাপারে এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পরিস্থিতিতে সরকারের অনুমোদনক্রমে বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এর ১৭ ধারা মোতাবেক ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনকে বিজিএমইএর প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগকৃত প্রশাসক ১২০ দিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন বলেও জানানো হয় আদেশে।