অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সহজ পদ্ধতি
বাংলাদেশে আগে থেকেই অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল, তবে আগের চেয়ে এবার অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া সহজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটি সবার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার সেবা উন্মুক্ত করেছে। সেই সঙ্গে কর দাতাদের অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে উৎসাহ দিচ্ছে। এখন যেকোনো করদাতা চাইলে অনলাইনে নিবন্ধন নিয়ে ঘরে বসেই তার আয়-ব্যয়ের তথ্য জানিয়ে এ বছরের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে করদাতা ও এনবিআরের কর কর্মকর্তাদের সরাসরি দেখা হবে না। এতে দুর্নীতি কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন দাখিলের জন্য অনলাইন ব্যবস্থা চালু করে এনবিআর। এরপর থেকে গত ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৫ হাজার অতিক্রম করেছে।
প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তি শ্রেণির করদাতারা আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারেন। এ বছর রিটার্ন জমার সময় এরই মধ্যে এক মাস বাড়ানো হয়েছে। সেই হিসেবে রিটার্ন জমার শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর। প্রতি কর্মদিবসে এখন গড়ে ৮ হাজার ই-রিটার্ন জমা দেওয়া হচ্ছে।
অনলাইনে রিটার্ন জমায় করদাতাদের প্রবল আগ্রহ দেখে এনবিআর আশা করছে, চলতি অর্থবছরে অনলাইনে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ লাখ রিটার্ন জমা পড়বে। এ বিষয়ে এনবিআরের স্লোগান হচ্ছে, ‘না দাঁড়িয়ে লাইনে, রিটার্ন দিন অনলাইনে’।
বর্তমানে ১ কোটি ৫ লাখের মতো কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। প্রতি বছর গড়ে ৪০ লাখের মতো টিআইএনধারী রিটার্ন জমা দেন। এবার এই সংখ্যা বাড়তে পারে।
অনলাইনে রিটার্ন জমা আরো সহজ করতে আগামী বছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান।
গত ১৭ নভেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রীদের সুবিধার্থে কাস্টমস হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন শেষে মো. আব্দুর রহমান খান বলেন, কর প্রদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অটোমেশনের মধ্যে নিয়ে আসা হবে। আগামী বছর কর রিটার্নের জন্য মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে।
তিনি বলেন, সব কর্পোরেট ট্যাক্স রিটার্ন আগামী বছরের মধ্যে অনলাইন করা হবে। বর্তমানে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া যাচ্ছে ব্যক্তি পর্যায়ে। আগামীতে এটি কর্পোরেট পর্যায়েও চালু করা হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর কর্মকর্তাদের সঙ্গে জনগণের সরাসরি যোগাযোগ কমিয়ে আনতে কাজ করছে এনবিআর। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ট্যাক্স দেওয়া সহজ করা হয়েছে। কার্ডে ২৫ হাজার টাকার নিচে ট্যাক্স দিলে খরচ হবে ২০ টাকা। এর ওপরে যত টাকাই হোক সর্বোচ্চ ৫০ টাকা।
এনবিআরের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তাকে আয়কর দিতে হবে। তবে নারী ও ৬৫-ঊর্ধ্ব নাগরিকদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা। আর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এটি ৫ লাখ টাকা।
এছাড়া পূর্ববর্তী কর মূল্যায়ন, শহরে বাসস্থান, গাড়ির মালিকানা, নির্দিষ্ট কিছু পেশার সদস্যপদ, ব্যবসা পরিচালনা এবং দরপত্র বা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্যও আয়কর পরিশোধ করতে হয়। এটি নিবন্ধিত কোম্পানি ও এনজিওগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকলে আপনার করযোগ্য আয় থাকুক বা না থাকুক, আপনাকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতেই হবে। করযোগ্য আয় না থাকলে শূন্য রিটার্ন দাখিল করা যাবে। সেটা না করলে আইনে শাস্তি ও জরিমানার বিধান আছে।
এদিকে এবারই প্রথম কয়েকটি এলাকা ও খাতের জন্য অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গত ২২ অক্টোবর এ সংক্রান্ত এক বিশেষ আদেশ জারি করেছে এনবিআর। এই আদেশের ফলে এখন থেকে ঢাকার দুটি এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আয়কর সার্কেলগুলোর সব সরকারি কর্মচারী এবং দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের কর্মীদের অনলাইনের মাধ্যমেই তাদের রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এছাড়া টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মীদেরও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড মুহাম্মদ ইউনূস সারাদেশে ব্যক্তি পর্যায়ের করদাতাদের ঘরে বসেই আয়কর জমা দিয়ে রিটার্ন দাখিল করার আহ্বান জানান।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, এখন ঘরে বসেই অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া, রিটার্নের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও কর সনদ সংগ্রহ, ই-পেমেন্ট করা এবং ই-রিটার্ন ভেরিফাই করা সম্ভব হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যেকোনো করদাতা রিটার্ন জমার পাশাপাশি কর পরিশোধ করতে পারছেন। এছাড়া একই অনলাইন ব্যবস্থা থেকে দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারছেন করদাতারা।
আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
অনলাইন রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়ার জন্য এনবিআরের ওয়েবসাইট www.etaxribr.gov.bd পোর্টালের ই-রিটার্ন অপশন ব্যবহার করে নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এর জন্য প্রয়োজন ট্যাক্সপেয়ার ইনডেক্স নম্বর বা টিআইএন এবং ‘বায়োমেট্রিক ভেরিফায়েড’ মোবাইল ফোন নম্বর।
ই-রিটার্নে সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে করদাতার নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধিত বায়োমেট্রিক সিমের প্রয়োজন হয়। করদাতার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বায়োমেট্রিক রেজিস্টার্ড কিনা, তা যাচাই করার জন্য *16001# নম্বরে ডায়াল করতে হবে।
নিবন্ধন করতে, ওয়েবসাইটের ই-রিটার্ন শাখায় ক্লিক করে। সেখানে ‘সাইন আপ’ অপশনে গিয়ে প্রথম বক্সে আপনার টিআইএন নাম্বার লিখতে হবে। দ্বিতীয় বক্সে জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বারটি লিখতে হবে (প্রথম শূন্য বাদ দিয়ে)। এরপর ক্যাপচা কোড দিয়ে ‘ভেরিফাই’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। ফোনে আসা ওটিপি ব্যবহার করে ফোন নাম্বারটি নিশ্চিত করতে সবশেষে ই-রিটার্ন সিস্টেমে লগ ইন করতে একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
সাবমিশন অপশন
নিবন্ধনের পর সাইন ইন করে ড্যাশবোর্ডের ‘সাবমিশন’ অপশনে যেতে হবে। এই অপশনে ‘রেগুলার ই-রিটার্ন’ ও ‘সিঙ্গেল পেজ রিটার্ন’ ক্যাটাগরি বেছে নিতে হয়।
করযোগ্য আয় ৫ লাখ টাকার বেশি না হওয়া, গণকর্মচারী না হওয়ার মতো ৭টি শর্ত মিলে গেলে সিঙ্গেল পেজ বা এক পাতার রিটার্ন পূরণ করার প্রক্রিয়ায় এগোতে হবে।
হাতের কাছে সব তথ্য রেখে পূরণ করতে হবে
ওয়েবসাইটে ঢুকে একবারে সব তথ্য পূরণ করার বাধ্যবাধকতা নেই। ড্রাফট হিসেবে রেখে পরবর্তী সময়েও পূরণ করার করার সুযোগ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে আয়কর আইনজীবী গোলাম মোস্তফা বলেন, সব ধরনের তথ্য ও ডকুমেন্ট রেডি করে হাতের কাছে রেখে তারপর ডেটা এন্ট্রি করা উচিত।
কী কী লাগবে
চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে বেতন বাবদ উপার্জনের নথি, ভাড়ার রসিদ ও চুক্তিপত্র, স্থানীয় পর্যায়ে করের রসিদ, সম্পদ ক্রয়-বিক্রয়ের দলিল, উৎসে কর কর্তনের সনদ, ব্যাংক হিসাবের বিবরণ, ইটিআইএন, জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি, আগের রিটার্নের কপি ইত্যাদি। একাধিক আয়ের উৎস থাকলে প্রয়োজন মোতাবেক কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। বিনিয়োগের বিবরণ, সম্পত্তির তথ্য এবং করমুক্ত আয়ের সার্টিফিকেট অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে। তবে অনলাইনে ই-রিটার্ন দিতে করদাতাকে কোনো কাগজপত্র জমা বা আপলোড করতে হয় না। শুধু প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দাখিল করলেই হয়।
ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট ইনফরমেশন
ই-রিটার্ন ফরমের শুরুতেই থাকবে ‘ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট ইনফরমেশন’। সেখানে আয়কর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য- রিটার্ন স্কিম, আয়ের সাল ও উৎস দিতে হবে। আয় যদি করমুক্ত হয়, তাহলে আয়ের পরিমাণের পাশাপাশি ‘রেসিডেন্ট স্ট্যাটাস’ দিতে হবে।
হেডস অব ইনকাম
হেডস অব ইনকাম-এ গিয়ে বিভিন্ন আয়ের উৎস দিন। এখানে বেতন, নিরাপত্তা সুদ, বাড়ি-সম্পত্তি থেকে আয়, কৃষি আয়, ব্যবসা থেকে আয়, মূলধন লাভ এবং অন্যান্য উৎস থেকে আয় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।
যদি বেতন আয়ের একমাত্র উৎস হয়, তাহলে ‘স্যালারি’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এর বাইরে আয় থেকে থাকলে ‘ইনকাম ফ্রম আদার সোর্সেস’ অপশনে ক্লিক করে সেখানে অন্যান্য যেসব উৎস থেকে আয় করে থাকেন, তাতে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’ অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
ড্রপডাউন মেনু থেকে প্রাথমিক আয়ের উৎসের স্থান ঠিক করবেন। সেখানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মতো অনেকগুলো অপশন থাকবে।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির আইনি অভিভাবক হলে, সেটিও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। এছাড়া, বিনিয়োগের জন্য করমুক্তির দাবিদার কিনা, কোনও সংস্থার শেয়ারহোল্ডার পরিচালক কিনা, তা হ্যাঁ বা না-এর মাধ্যমে উত্তর দেবেন।
সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকার বেশি হলে আইটি১০বি
সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকা বা তারচেয়ে বেশি হয়, তাহলে অবশ্যই স্টেটমেন্ট ফর্মের ব্যয় বিভাগটি পূরণ করতে হবে। এজন্য ‘আইটি১০বি’ ফর্ম পূরণ করতে হবে। সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখের কম হলে এটি পূরণ করতে হবে না।
‘এনি আদার’ ইনকাম
অন্যান্য উৎস থেকে আসা আয়, বৈদেশিক আয় বা কর-অব্যাহতিপ্রাপ্ত আয়ের বিবরণ দিন। বেতন বা করযোগ্য বিনিয়োগ ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে আসা আয়ের তথ্য দিতে ড্রপডাউন মেনুতে বিভিন্ন অপশনে ক্লিক করতে হবে।
‘এনি আদার ইনকাম’ অপশনে ক্লিক করলে সেখানে অন্য আয়ের উৎস, অর্থ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ, প্রাপ্ত সর্বশেষ আয়ের তারিখ ও পরিমাণ, এবং সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের হিসেব দিতে হবে। এসব তথ্য দেওয়ার পর নেট আয়ের হিসেব দেখানো হবে।
ডিপিএস
বর্তমানে জীবন বিমা প্রিমিয়াম, ডিপোজিট প্রিমিয়াম সার্ভিস (ডিপিএস), অনুমোদিত সঞ্চয়পত্র, সাধারণ প্রভিডেন্ট ফান্ড, বেনেভোলেন্ট ফান্ড, গ্রুপ বিমা প্রিমিয়াম, অনুমোদিত স্টক বা শেয়ার, কিংবা অন্যান্য ক্যাটাগরিতে বিনিয়োগ থাকলে, সেগুলো এখানে উল্লেখ করতে হবে। ‘ডিপিএস’ অপশনে ক্লিক করলে ব্যাংকের নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং জমাকৃত অর্থের পরিমাণ দিতে হবে।
ব্যয়ের তথ্য
মোট আয়ের বিপরীতে মোট ব্যয় পর্যালোচনা করতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের বিভাগ থাকবে। খাদ্য, পোশাক, বাসস্থান (পরিবহন, গৃহস্থালি, ইউটিলিটিসহ), বাচ্চাদের শিক্ষা এবং অন্য কোনো ব্যয়ের খাত থাকলে তা অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। এই বিবরণগুলো পূরণ করলে বকেয়া করের হিসেব দেওয়া হবে।
অগ্রিম কর
এরই মধ্যে কোনো উৎস কর এবং অগ্রিম কর প্রদান করে থাকলে তার তথ্য দিতে পারবেন। এই হিসাব দেওয়ার পর মোট প্রদেয় করের পরিমাণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যাবে। আয়ের উপর কোনো কর বকেয়া না থাকলে আপনার প্রদেয় করের পরিমাণ হবে শূন্য। একে ‘শূন্য রিটার্ন’ বলা হয়।
অনলাইন রিটার্ন
‘অনলাইন রিটার্ন’ অপশনে ক্লিক করলে রিটার্ন ফর্মটি দেখতে পাবেন। তার নিচে ‘ইয়েস’ অপশনে ক্লিক করলেই রিটার্ন সাবমিট হয়ে যাবে। কোনো তথ্য নিয়ে সন্দেহ থাকলে নো অপশনে ক্লিক করতে পারেন এবং আবার সব তথ্য দেখে নিতে পারেন।
রসিদ ডাউনলোড
যদি আয়কর রিটার্ন সফলভাবে জমা হয়, তাহলে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বার্তা লেখা দেখবেন। সেখানে একটি রেফারেন্স আইডি ডাউনলোড করার অপশন থাকবে। সেটি ডাউনলোড করে অনলাইনেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। অথবা সেটি প্রিন্ট করে আয়কর অফিসে পাঠাতে পারেন।