রিজার্ভ বাড়ল ৩৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার

রিজার্ভ বাড়ল ৩৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার

গত ১৫ দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ৩৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী, হালনাগাদ রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৭৩ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দেড় মাসের মধ্যে রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দুই মাসের বিল পরিশোধের পর নভেম্বরের মাঝামাঝিতে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। আকুর বিল পরিশোধ শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ৮৪৩ কোটি ৭০ হাজার ডলার বা ১৮ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু প্রবাসী আয় ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার বাড়তে শুরু করেছে।

সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২৮ নভেম্বর রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৭৩ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

একই সময় বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৪৫ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার। তবে নিট রিজার্ভের পরিমাণ এখনও ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

প্রসঙ্গত, প্রতি দুই মাস পরপর আকুর বিল পরিশোধ করতে হয়। যার পরিমাণ প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার। কম প্রয়োজনীয় বা বিলাসী পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার ফলে আমদানি ব্যয় কমে আসে। এর প্রভাব পড়ে আকু অঞ্চলের রিজার্ভেও। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর দুই মাসে বাংলাদেশকে এক দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে।

নভেম্বর-ডিসেম্বরের আকু অঞ্চলের আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে। সে সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার দেড় বিলিয়ন ডলার কমবে। অবশ্য তার আগে বর্তমান রিজার্ভ বেড়ে আবার ২০ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।