রফতানি হচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি জাহাজ

রফতানি হচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি জাহাজ

সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিনটি জাহাজ রফতানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রয়েছে একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট এবং দুটি টাগবোট। জাহাজ তিনটি রফতানি করতে যাচ্ছে জাহাজ ও নৌযান নির্মাণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, রায়ান নামে ল্যান্ডিং ক্রাফটি পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রেতার হাতে হস্তান্তর করা হবে। ৬৯ মিটার লম্বা জাহাজটিতে বড় জাহাজের মালামাল পরিবহন করা হবে। এছাড়া খালিদ ও ঘায়া নামে দুটি টাগবোট প্রায় তৈরি হয়ে গেছে। মাস দুয়েকের মধ্যে একই প্রতিষ্ঠানের হাতে টাগবোট দুটি হস্তান্তর করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবশেষ ২০২০ সালে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড জাহাজ রফতানি করেছিল। এরপর ২০২৩ সালে আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠান মারওয়ান শিপিংয়ের ৮টি জাহাজ নিমার্ণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় ওয়েস্টার্ন শিপইয়ার্ড।

ওয়েস্টার্ন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান বলেন, চুক্তির ৮টি জাহাজই ২০২৫ সালের মধ্যে মারওয়ান শিপিংয়ের কাছে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান ২০১৭ সালে বিদেশি এই ক্রেতার কাছে আরো একটি জাহাজ রফতানি করেছিল। সন্তুষ্ট হয়ে তারা পুনরায় আমাদের কাছে এসেছে।

তিনি আরো বলেন, ওয়েস্টার্ন শিপইয়ার্ড এ পর্যন্ত মোট ৩৩টি জাহাজ বিশ্বের ১১টি দেশে রফতানি করেছে। এসব জাহাজের মূল্য ১০০ মিলিয়ন ডলারের চেয়েও বেশি। আগামী মাসের মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কাছে আরো দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি রূপসা ও এমভি সুগন্ধা হস্তান্তর করবে।