আওতা বাড়ছে আয়করের

আওতা বাড়ছে আয়করের

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে— তারা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটের পাশাপাশি আয়করের আওতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সংস্থাটি বলেছে, দেশব্যাপী আয়কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসার লক্ষ্যে বেশ কিছু আয়কর অব্যাহতির বিধান বাতিল এবং সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া, আরও কিছু পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এনবিআর তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগে আয়কর অব্যাহতির কিছু বিধান বাতিল করার কথা ভাবছে। তবে, এসব পরিবর্তনের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম বাড়বে না এবং সাধারণ মানুষের জন্য ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন খরচে মূল্যস্ফীতির কোনো প্রভাব পড়বে না বলে এনবিআর আশা প্রকাশ করেছে।

এনবিআর জানায়, সম্প্রতি আয়কর, ভ্যাট এবং শুল্ক বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু সংবাদ তাদের নজরে এসেছে। জনগণের স্বার্থে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোতে শুল্ক করহারে ব্যাপক ছাড় দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য এবং জাতি হিসেবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি এবং শুল্কের হার যৌক্তিক করার লক্ষ্যে এনবিআর একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

এনবিআর আরও জানায়, গত চার মাসে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখতে চাল, আলু, পেঁয়াজ, চিনি, ডিম, খেজুর, ভোজ্যতেল এবং কীটনাশকসহ আটটি পণ্যে আমদানি, স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য স্তরে শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের কারণে রাজস্ব আদায় ব্যাপকভাবে কমে গেছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর ছাড় দেওয়া হলেও, অন্যান্য খাত থেকে রাজস্ব সংগ্রহে উন্নতি না হলে বাজেট ঘাটতি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। এজন্য এনবিআর, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে, যাতে ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং আবগারি শুল্কের হার এবং পরিমাণ যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করা যায় এবং রাজস্ব সংগ্রহ আরও বাড়ানো সম্ভব হয়।

এনবিআর বলেছে, তাদের এই পদক্ষেপগুলোর উদ্দেশ্য একদিকে দেশের রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি করা, আরেকদিকে, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন ও দেশের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করা।