এস আলমের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও ১৬ সম্পত্তি জব্দ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমসহ তার পরিবারের নামে থাকা ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তার ১৬টি স্থাবর সম্পত্তি জব্দের (ক্রোক) আদেশও দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

এদিন দুদকের উপপরিচালক সিফফাত উদ্দিন এসব সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। পরে বিচারক দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

জব্দকৃত ১৬টি সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে— গুলশানের এস আলম টাওয়ারে ১০ তলা ভবন, ধানমন্ডিতে এক বিঘা জমিসহ ৬ তলা ভবন, ধানমন্ডি লেক সার্কাসে ১১.৮৮ শতাংশ জমিসহ ৪ তলা ভবন, গুলশানের ২৬৫৮ বর্গফুট জমির ওপর নির্মিত ফ্ল্যাট, গুলশান-২ এর প্লট, ০.৭৮৮৮ একর জমি। উত্তরা আবাসিক এলাকায় ৭ তলা ভবন, ভাটারাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ১০৩.০৩ কাঠা জমির প্লট, ১.৭২ একর জমি, ৯৬ কাঠা জমি, ১.৯৫৩৬ একর জমি, ১১.১০৬১ বিঘা, ১৩১.০৪ কাঠা জমি।

এদিকে, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। গ্রুপটির কর্ণধার মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্য এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল অঙ্কের অর্থ জমা হয়েছে। এর মধ্যে কেবল সাইফুল আলমের গৃহকর্মীর ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৬ কোটি টাকা জমা হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

এছাড়া, গ্রুপটির চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ছয়টি ব্যাংকের হিসাবে এক লাখ ৮০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা জমা হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বিগত পাঁচ বছরের হিসাব পর্যালোচনা করে ওই লেনদেনের তথ্য পেয়েছে এনবিআরের কর অঞ্চল-১৫।

হিসাবগুলোর সর্বশেষ স্থিতিতে মিলেছে ৩২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যেখানে গত ৩০ জুন পর্যন্ত ছয় হাজার ৮০০ কোটি টাকা জমা ছিল। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনবিআরের আওতাধীন কর অঞ্চল-১৫ এস আলম গ্রুপের আর্থিক লেনদেন ও কর ফাঁকির বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। কর অঞ্চলটির অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও মালিকদের নামে ৬৫টি আয়কর নথির অস্তিত্ব মিলেছে, যার যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান।