এবার সিঙ্গাপুর থেকে আসবে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল, ব্যয় ২৬৫ কোটি টাকা

ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনামের পর এবার সিঙ্গাপুর থেকে নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৬৫ কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের এম/এস এগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনাল পিটিই, এলটিডি থেকে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থান করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদ প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।

এই চালের প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৩৪.৭৭ মার্কিন ডলার। আর মোট ক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে ২৬৫ কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে এই চাল কেনা হবে।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। এ জন্য ব্যয় ধরা হয় ৫৭৮ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর প্রতি টনের মূল্য ধরা হয় ৪৭৪.২৫ মার্কিন ডলার।

তার আগে ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কেনার অনুমোদন দেয়া হয়। সেই সঙ্গে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার অনুমোদন দেয়া হয়।

পাকিস্তান থেকে 'জিটুজি' পর্যায়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কিনতে ব্যয় ধরা হয় ৩০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আর প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয় ৪৯৯ মার্কিন ডলার। অপরদিকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির ব্যয় ধরা হয় ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

এক্ষেত্রে প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ধরা হয় ৪৫৪.১৪ মার্কিন ডলার। তার আগে গত বছরের ৪ ও ১৮ ডিসেম্বর ভারত থেকে ৫০ হাজার টন করে নন-বসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।

৪ ডিসেম্বর আমদানির অনুমোদন দেওয়া চালের মূল্য ধরা হয় ২৮০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর ১৮ ডিসেম্বর আমদানির অনুমোদন দেওয়া চালের মূল্য ধরা হয় ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা।