বড় উত্থানের পরদিনই আবারও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

একদিনের লেনদেনে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রায় ৬০ পয়েন্ট সূচক বাড়লেও পরদিন সূচকের বড় পতন হয়েছে ঢাকার বাজারে, দাম কমেছে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ কোম্পানির। 

সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৩ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৭ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ৬৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৭৬ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরির ২১৮ কোম্পানির মধ্যে ৩৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৪৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২৭ কোম্পানির ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। লাভেলো সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সারাদিনে ডিএসইতে ৩১৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪১৭ কোটি টাকা।

৯.৮৯ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং ৬.৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় পতন না হলেও দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির।

লেনদেন হওয়া ১৮৯ কোম্পানির মধ্যে ৬৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৯৬ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ১১ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা এর আগের সবশেষ কার্যদিবসে ছিল ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ১০ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে জনতা ইন্স্যুরেন্স।