অভিনেত্রীর অন্ধকার অতীত!
পর পর তিন তিনটা ফ্লপ সিনেমার পর চার নম্বর সিনেমা সুপারহিট সঙ্গে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড! নায়িকা রূপা মীর্জা এখন ‘টক অব দ্য শো বিজ’। এই সাফল্য উদযাপন করতে সে একটা পার্টির আয়োজন করা হয়। সেই পার্টিতে শূন্য থেকে শিখরে ওঠা রূপা মীর্জার অন্ধকার অতীত সামনে চলে আসে। আপন-পর, শত্রু-মিত্র, মুখ ও মুখোশ সব যেনো এক গোলক ধাঁধা!
পুরোনো ক্ষত, পাপ কিংবা লোভের গল্পে রাত বাড়তে থাকে আর বাড়তে থাকে লাশ! এমনই এক নায়িকার জীবনের গল্পে নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘পয়জন’। এটি নির্মাণ করেছেন সঞ্জয় সমাদ্দার। আর এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানজিন তিশা। এতে তার সহশিল্পী আবু হুরায়রা তানভীর।
সন্ধ্যায় ওয়েব ফিল্ম ‘পয়জন’র প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। ‘পয়জন’র পরিচালক সঞ্জয় সমাদ্দার, তানজিন তিশা, আবু হুরায়রা তানভীরসহ দীপ্ত টিভির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং অন্যান্য শিল্পী ও কলাকুশলীরা। এইদিনেই এটি উন্মুক্ত হয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ।
অনুষ্ঠানে নির্মাতা সঞ্জয় সমাদ্দার বলেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে কোনো কিছু বিষ! কিন্তু জীবনের এমনই আয়রনি যে, প্রয়োজনীয়তার সীমা আমরা প্রায়শই নির্ধারণ করতে পারি না। সেখান থেকেই জন্ম নেয় বেঁচে থাকার নানা সমীকরণ। পরিশ্রম, মেধা, কিংবা প্রতারণা নানাভাবে জীবনের সেই সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা চলে কিন্তু জীবনের গল্প তো আসলে লেখে অন্য কেউ।
তানজিন তিশা বলেন, আমি এখানে একটা নায়িকার জীবনের গল্প উপস্থাপন করেছি। এই চরিত্রে অভিনয় করার আগে আমি একজন নায়িকার জীবনযাপনও রপ্ত করেছি। আমাকে জানতে হয়েছে, একজন নায়িকাকে কাজ করতে গিয়ে কী ডিল করতে হয়! আমি অনেক সিনেমা দেখেছি। যেহেতু আমি সিনেমার নায়িকা না, তাই রূপা মীর্জা হতে গিয়ে একজন সিনেমার নায়িকাকে স্টাডি করতে হয়েছে। ১২ দিন যখন শুটিং করেছি তখন মনে হয়েছে আমি রূপা মীর্জা ছিলাম। আশা করছি দর্শক আমার কাজ দেখে হতাশ হবেন না।
মামুনুর রশিদ তানিমের রচনায় ও সঞ্জয় সমাদ্দারের পরিচালনায় ওয়েব ফিল্মটিতে আরও অভিনয় করেছেন টাইগার রবি, রওনক রিপন, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, এ কে আজাদ সেতু, এস এম সোহাগসহ অনেকে।