জেলে যেতে পারেন পরীমনি
সাভারের বিরুলিয়ায় বোট ক্লাবে ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। সে সময় আলোচনায় আসেন ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন মাহমুদ। পরীমনির মামলায় জামিনে কারামুক্ত হয়ে নাসির পাল্টা মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলা করেন। এবার সেই মামলায় জেলে যেতে হতে পারে পরীমনিকে।
এরই মধ্যে মামলায় সত্যতা পেয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এতে বিচার পেতে পরীমনি ও নাছির মুখোমুখি হন।
শ্লীলতাহানির মামলায় আসামিরা আদালতে হাজিরা দিলেও পরীমনির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় বিচার কাজ এগোয়নি ততটা। বারবার তারিখ ধার্য করা হলেও দুই পক্ষের ব্যস্ততার অজুহাতে আটকে আছে বিচারকাজ।
২০২২ সালের ১৮ মে মামলাটির বিচার কাজ শুরু হয়। এরপর আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০টি তারিখ ধার্য করেন। এর মধ্যে ৯টি ধার্য শেষ হলেও কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়নি। তবে আগামী ২৫ জুন ব্যবসায়ী নাছিরের মামলায় পরীমনিকে আদালতে উপস্থিত হতে হবে। পিবিআইর দেওয়া প্রতিবেদনে সমন জারি রয়েছে।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর পাবলিক প্রসিকিউটর শহিদুল ইসলাম বলেন, সাক্ষী হাজির না করে সময়ের আবেদন করা হয়। বাদীপক্ষ কোনো যোগাযোগ করে না। এসব কারণে মামলার বিচার বিলম্বিত হয়।
নাছিরের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল বলেন, পরীমনির করা মামলায় ধার্য তারিখে হাজির না হওয়ায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিচার, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। পরীমনি হাজির হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে, সেই কারণেই তিনি হাজির হন না বলেও মনে করেন তিনি।
পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী বলেন, আসামিরা ব্যবসায়িক কারণে দেশের বাইরে থাকেন। ফলে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দীর্ঘদিন পরপর তারিখ দেন। এছাড়া পরীমনি অসুস্থ ও শুটিংয়ের কারণে আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসতে পারেননি।