এতদিন কোথায় ছিলেন? প্রশ্ন তমা মির্জার
দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন হয়েছে অনেক বেশি। সাধারণ জনগণের সঙ্গে তারকারাও ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছাড়া আর কোন বিষয়ে পোস্ট করলেই কমেন্ট বক্সে অসংখ্য কটুক্তি, গালাগালি আর অহেতুক সমালোচনা মুখে পড়ছে।
বিষয়টি নিয়ে এবার সরব হয়েছেন অভিনেত্রী তমা মির্জা। সামাজিক মাধ্যমে তমা লিখেছেন, ‘যারা আমাদের অনেকের পোস্টে এসে জিজ্ঞাসা করছেন ১৬ বছর কই ছিলা? সঙ্গে আরো যা যা বলছেন (কটুক্তি, গালাগালি, ট্রল) সেটা আপনার পারিবারিক শিক্ষার বহিঃপ্রকাশ! আচ্ছা আমার প্রশ্ন এখন, এতো কথা যে বলছেন, সব মানুষের পোস্টে এসে কমেন্ট করে দেশপ্রেম প্রকাশ করছেন, আপনি নিজে কী ১৬ বছর দেশের বাইরে ছিলেন? না মানে, আপনার ফেসবুকে তো পূর্বের ১৬ বছরের কোনো বিদ্রোহী আওয়াজ পাচ্ছি না! যদিও এরমধ্যে ফেক আইডি অগণিত। যাদের কাজ মানুষের আইডিতে গিয়ে বাজে কমেন্ট করা।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘শোনেন, আগে মানবিক হন। আমাদের বীর সাহসী ছাত্রযোদ্ধারা আমাদের জন্য, দেশের জন্য যা করেছে এবং এখনো যা করছে তা আমি আপনি করার মতো সাহস ভবিষ্যতে আদৌ হবে কিনা জানি না। তাই চাই না বিচ্ছিন্ন কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য তাদেরকে কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হোক। তাদের এখন অনেক দায়িত্ব যেটা তারা সততার সঙ্গে পালন করছে। আর আমার আপনার দায়িত্ব নিজেদের শুধরানো। পারলে সেটা করেন, না পারলে আমার ওয়াল- এ কমেন্ট করতে আসবেন না। আপনাকে আমি চিনি না, চিনতে চাইও না। আপনার বিকৃত মনমানসিকতা প্রকাশ পায় আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকলাপে। ধন্যবাদ।’
তার পোস্টের কমেন্ট বক্সে আরিফুর রহমান হাসান নামে একজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে? আমরা যদি প্রত্যেকে নিজের ধর্ম গ্রন্থ পড়াশুনা করতাম তাহলে আমরা অমানুষ হতাম না। আমাদের মানুষ থেকে দিনদিন মনুষ্যত্ব হারিয়ে যাচ্ছে।’
আহমেদ নামের একজন লিখেছেন, ‘এটা অমানবিক কাজ। তবে এই যে হাতি মারায় দুঃখ প্রকাশ করছ এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছ কখনো কি মানুষ মারার সময় প্রতিবাদ করেছিলা? আর করবা বাই কীভাবে। তোমার ভিতরে মানুষের জন্য মনুষ্যত্ব নাই।’
ইয়াশ রুদ্র নামের একজন লিখেছেন, ‘এরা ১৬ বছর মনে মনে বিদ্রোহ করেছে। আর সপ্তাহ দুয়েক ধরে এদের মুখে খই ফুটেছে। সবচেয়ে বড় কথা, এদের মধ্যে অধিকাংশই এই ১৬ বছর নিয়ে কনসার্ন না। তাদের মূল লক্ষ্য সুযোগ পেলেই অন্যদের ছোট করা, যেটা সারা বছরই চলে। এসব তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে আসলে। মানুষকে ছোট না করলে, উল্টাপাল্টা কথা না বললে অস্বস্তি হয় তাদের।’