‘নতুনরা ইন্ডাস্ট্রিকে যৌনপল্লী ভাবতে বাধ্য হয়’
গত ৮ আগস্ট দিবাগত রাতে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর খুন করা হয়। ন্যক্কারজনক এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে কলকাতাবাসী। এরই মাঝে হেমা কমিটির রিপোর্টকে কেন্দ্র করে তোলপাড় চলছে মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। এ পরিস্থিতিতে টালিউড ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। তাতে এ অভিনেত্রী লেখেন, ‘হেমা কমিশনের রিপোর্টে, মালায়ালাম চলচ্চিত্র জগতের যৌন হেনস্তার ঘটনাগুলোর পর্দা ফাঁস করেছে। এ ঘটনা আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতেও এমন কোনো পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয় না?’
বহুরূপী নায়ক-পরিচালক প্রসঙ্গে ঋতাভরী চক্রবর্তী লেখেন, ‘আমার চেনা অনেক অভিনেত্রীর সঙ্গে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। নোংরা মন ও ব্যবহার নিয়ে নায়ক/প্রযোজক/পরিচালক দিনের পর দিন কাজ করে চলেছেন। তাদের কোনো সমস্যাও হচ্ছে না। আবার আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে তাদের মোমবাতি হাতেও দেখা যাচ্ছে।’
নোংরা মানুষদের মুখোশ টেনে খোলার আহ্বান জানিয়ে ঋতাভরী লেখেন, ‘এই সমস্ত নোংরা মানসিকতার মানুষদের মুখোশ টেনে খুলুন। আমি আমার সহ-অভিনেত্রীদের কাছে আবেদন করছি, এই শয়তানদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। জানি, আপনারা হয়তো ভালো চরিত্র হারানোর বা ইন্ডাস্ট্রিতে কোনোদিন কাজ না পাওয়ার ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু আর কতদিন আমাদের চুপ থাকা উচিত?’
‘যে সমস্ত তরুণ অভিনেত্রীরা স্বপ্ন নিয়ে এই কাজে আসেন তাদের প্রতি কি আমাদের কোনো দায়িত্ব নেই? এই জায়গাটাকে (ইন্ডাস্ট্রি) তারা সুগার কোটেড ব্রথেল (যৌনপল্লী) ভাবতে বাধ্য হয়! মমতা ব্যানার্জি (দিদি) আমরা এই ধরনের (হেমা কমিটির মতো) তদন্ত চাই, অভিযোগ আর পরিবর্তনের জন্য।’ লেখেন ঋতাভরী।
বিবৃতিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে ঋতাভরী লেখেন, ‘না, আমরা আর কোনো ধর্ষণ বা হেনস্তার ঘটনা চাই না, তার আগেই গুরুত্বের সঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যৌন তৃষ্ণা মেটানোর জন্য আমাদেরকে পণ্য হিসেবে দেখার অধিকার কোনো পুরুষকে দেওয়া হয়নি।’