কবে দেশে ফিরবেন জায়েদ খান!
অভিনেতা জায়েদ খান বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। প্রায় মাসখানেক হলো তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখনো জায়েদ খান দেশে ফেরেননি।
জায়েদ খান দেশের বাইরে থাকলেও তিনি এখন মামলার আসামি। কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে এখনো আমার কিছু শো বাকি আছে। সেসব শেষ করেই ফিরব। আশা করি দেশে ফিরলে কোনো হয়রানির মুখে পড়তে হবে না।’
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অভিনেত্রী তানভীন আহমেদ সুইটি, অভিনেতা-উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় ও জায়েদ খানসহ ৫৬ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে অবগত আছেন জায়েদ খান। কানাডা থেকেই একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে আমি নাকি ২০১৫ সালে হামলা করে তাকে হত্যাচেষ্টা করেছি। সেই মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। পুরোপুরি মিথ্যা তথ্য। মিথ্যা মামলা। যার কোনো ভিত্তি নেই।
তিনি বলেন, আমি দেশের একজন শিল্পী। বাংলাদেশকে ভালোবাসি। দেশের মানুষকে ভালোবাসি। হতে পারে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলে বিশ্বাসী আমি। এ জন্য তো যে কেউ মিথ্যা তথ্যমূলক মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করতে পারে না।
জায়েদ বলেন, ‘আমি তো রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কাজে জড়িত নই। কোনো দুর্নীতি করিনি। একজন শিল্পী হিসেবে সবসময় মানুষকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করে গেছি। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের প্রায় মাসখানেক আগে থেকেই আমি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও সর্বশেষ আমেরিকার শো নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। শো করে মানুষকে বিনোদিত করেছি। একজন বিনোদনকর্মী হিসেবে এটাই তো আমাদের কাজ। আমি সেটাই করেছি।
এ অভিনেতা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা শিল্পী। কারও সঙ্গে কখনো অন্যায় করিনি। কোনো ক্ষতি করিনি। দেশের মানুষকে ভালোবাসি।
আমাকেও সবাই ভালোবাসেন। এখন আমার নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উনি ছাত্রদের নিয়ে দেশের সংস্কারকাজ করছেন। আমার বিশ্বাস- এসব ভিত্তিহীন মামলার বিষয় নিয়েও উনি দেখবেন।’