আবু সাঈদকে আঁকলেও ভাবনা ছিলেন আরাফাতদের গ্রুপে: জান্নাতুন নাঈম প্রীতি

আবু সাঈদকে আঁকলেও ভাবনা ছিলেন আরাফাতদের গ্রুপে: জান্নাতুন নাঈম প্রীতি

সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট মঙ্গলবার সকালে সোশ্যালে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবাকে যাদের অবস্থান ছিল ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে! 

তারা মত দেন যেভাবেই হোক আন্দোলন থামাতে হবে। আরেকজন শিল্পী পরামর্শ দেন ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার জন্য।

সেই গ্রুপে সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌসসহ ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাজু খাদেমসহ অনেকেই। তবে প্রকাশিত স্ক্রিনশটে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাসসহ কয়েকজন। 

এদিকে আলোচিত ও সমালোচিত লেখিকা জান্নাতুন নাঈম প্রীতির দাবি ‘আলো আসবেই’ নামের ওই চ্যাটগ্রুপে সদস্য সংখ্যা ১৬০ জন। অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনার নামও আছে সে তালিকায়। এতে অবাক নেটিজেনদের অনেকে। কেননা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাত্র আবু সাইদের প্রতিকৃতিসহ আন্দোলন নিয়ে বেশকিছু ছবি এঁকেছেন ভাবনা। সামাজিক মাধ্যমে সেসব প্রকাশ করে  ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান করেছেন। কিন্তু প্রীতির দাবি, ভেতরে ভেতরে তিনি ছাত্র আন্দোলন বিরোধীদের সঙ্গে ছিলেন। এ কথা শুনে যারপরনাই অবাক নেটাগরিকরাও। অবাক প্রীতিও।

নিজের ফেসবুকে দেওয়া পোস্টের একাংশে তিনি লিখেছেন, ‘সবচেয়ে বড়ো রসিকতাটা সম্ভবত করেছেন আশনা হাবীব ভাবনা। ইনি ছাত্র আন্দোলনের আবু সাঈদকে নিয়ে ছবি এঁকে নাকি কান্নার অভিনয় করে এই গ্রুপে দিব্যি বসে ছিলেন!’

এরপর প্রীতি লেখেন, ‘শিল্পী মানেই বিবেকবোধ ঠিক থাকবে, এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসার ক্ষেত্রে- এদেরকে ধন্যবাদ। শিল্পের নামে মানুষ হত্যা, সাধারণ ছাত্রদেরকে সন্ত্রাসী ট্যাগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো কোনো শিল্পীরা ভূমিকা রেখেছে সেটা আমাদের জানা থাকল। যে ছাত্ররা পা হারিয়েছে, বুকে আর মাথায় গুলি খেয়েছে- তারাও জেনে রাখুক সব শিল্পীরই বিবেকবোধ নাই, এবং সব বিবেকবোধওয়ালা মানুষ শিল্পী হওয়ার আগে- মানুষ।’ 

লেখক আরও লিখেছেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও এমন শিল্পীরা ছিল। ফলে আমরা অবাক হচ্ছি না। শুধু আফসোস করে বলতে ইচ্ছা করে- হে মোর দুর্ভাগা দেশ যাদের করেছ অপমান অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান!’

সবশেষে দেশের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে প্রীতি লিখেছেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশ, শিল্পী নামের এই সকল কলঙ্কদের চিনে নিতে তুমি প্রস্তুত তো?’