‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’ নিয়ে শিল্পীদের মধ্যে ক্ষোভ
‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’ সংগঠন নিয়ে অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে অনেক আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থান যেন সেই আগুনে ঘি ঢেলে দিলো। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছেন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নেতৃস্থানীয়রা। শুধু এখানেই শেষ নয়, নানান ইস্যুতে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করছেন অনেক অভিনয়শিল্পীই।
এদিকে গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজধানীর নিকেতনের ‘গ্রাউন্ড জিরো’-তে একটি জরুরি বৈঠক করেন অভিনয়শিল্পীরা। এসময় ‘দৃশ্যমাধ্যমের শিল্পী সমাজ’-এর ব্যানারে ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’র সংস্কারের দাবি তোলেন এক দল অভিনয়শিল্পী। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন অভিনয়শিল্পী।
জানা গেছে, বৈঠকে পারস্পরিক আলোচনা ও প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাঁচটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিদ্ধান্তগুলো প্রকাশ করেছেন তারা। সেখানে অভিনয়শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটিকে দুঃখ প্রকাশ ও জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে অবস্থানকারীদের জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
অন্যথায় ১০ সেপ্টেম্বর অভিনয়শিল্পী সংঘের কমিটি বিলুপ্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে, চিঠি চালাচালির মাধ্যমে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছে বর্তমান অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতৃবৃন্দের কাছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ না হওয়ায় বৈঠকে কড়া আল্টিমেটাম ছুড়ে দেওয়া হয়েছে সংগঠন কর্তাদের প্রতি।
গত ৮ সেপ্টেম্বর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’-এর বর্তমান কমটির প্রতি ২১টি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তাদের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান বলেন, শিগগিরই ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’-এর সদস্যদের নিয়ে একটি সাধারণ সভা হবে। সেখানে সংস্কার বিষয়েও কথা হবে। ওই সভায় সাধারণ সদস্যরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা মাথা পেতে নেব। আমরা গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছি।
শিল্পীদের দুই পক্ষ হওয়া উচিত নয় উল্লেখ করে নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, শিল্পীরা দুই পক্ষ হয়ে গেছে। এটি নিয়ে ভীষণ বিব্রত আমি। এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া মোটেও কাম্য নয়। আমি দুই পক্ষের কথাই শুনেছি। ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’-এর নেতারা একটি বিশেষ সাধারণ সভা ডেকেছে। সভায় বিষয়গুলো আলোচনা হবে। প্রত্যাশা করছি, সেই মিটিংয়ের মাধ্যমে এসব সমস্যার মীমাংসা হবে। আমি সেই মীমাংসার অপেক্ষায় আছি।
‘গ্রাউন্ড জিরো’-তে হওয়া জরুরি বৈঠক আরো- উপস্থিত ছিলেন এহসানুর রহমান, কাজী নওশাবা আহমেদ, ইন্তেখাব দিনার, খায়রুল বাসার, শ্যামল মাওলা, মনোজ প্রামাণিক, এফ এস নাঈম, সুষমা সরকার, আহমেদ সাব্বির, নাদিয়া আহমেদ, নীলা ইস্রাফিল, মৌসুমি হামিদ, সোহেল মণ্ডল, নাজিয়া হক অর্ষা, মোস্তাফিজুর নূর ইমরানসহ ৪৭ জন অভিনয়শিল্পী।