শান্তি ও সৌরভের বার্তা ছড়িয়ে দিলেন মেহজাবীন

শান্তি ও সৌরভের বার্তা ছড়িয়ে দিলেন মেহজাবীন

বিশ্বখ্যাত টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (টিআইএফএফ) এবারের আসরে বাংলাদেশি সিনেমার প্রতিনিধিত্ব করছেন একমাত্র অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। দেশের এমন পরিবর্তিত সময়ে মেহজাবীন ফুলের সৌরভ ছড়াচ্ছেন টরন্টোয়! যে সৌরভ ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে অভিনেত্রীর ভেরিফায়েড পেইজে।

টরন্টোয় উৎসবস্থলে গিয়ে মেহজাবীনের দেখা হয়ে গেল তারই পছন্দের অভিনেত্রী নওমি ওয়াটসের সঙ্গে। ব্রিটিশ এই অভিনেত্রীর পুরনো ভক্ত মেহজাবীন। দেখা হওয়ার পর ভক্তসুলভ ছবি তুলতে ভুললেন না। অতঃপর যথারীতি সেটি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেন।

পরনে কালো পোশাক আর মিষ্টি রোদে দারুণ এক দ্যুতি ছড়িয়ে দিলেন মেহজাবীন। একগুচ্ছ সাদা লিলি ফুল হাতে যেন শান্তি ও সৌরভের বার্তা ছড়িয়ে দিলেন টরন্টো শহরে।

৮ সেপ্টেম্বরের শো শেষে তোলা এ ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন- ‘নওমি ওয়াটসের সঙ্গে টিআইএফএফ-এ ফ্যানগার্ল মোমেন্ট।’ যেখানে তিনি নিজে ‘ভক্ত বালিকা’ বলে সম্বোধন করেছেন।

ছবির নিচে মন্তব্যের ঘরে প্রশংসায় ভাসছেন মেহজাবীন। খবর পাওয়া গেছে, প্রতিটি শো’র পর মুহুর্মুহু করতালিতে সিক্ত হচ্ছে ‘সাবা’ টিম।

মেহজাবীন বলেন, ‘সাবা’ অর্থ সকাল, সকালের মৃদু বাতাস। মেহজাবীনের আশা, গল্প, চরিত্র, নির্মাণ, সহশিল্পী ও নেপথ্যের মেধাবী কলাকুশলীদের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগসহ সব মিলিয়ে ‘সাবা’ আমার জীবনে সবসময়ই বিশেষ একটি নাম হয়ে থাকবে।

এদিকে শুধু অভিনয় নয়, ‘সাবা’ সিনেমাটি প্রযোজনাও করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। প্রযোজকের তালিকায় তার পাশাপাশি আছেন আরিফুর রহমান, তামিম আব্দুল মজিদ, ত্রিলোরা খান, মাকসুদ হোসেন ও বরকত হোসেন পলাশ। চিত্রগ্রহণ করেছেন বরকত হোসেন পলাশ। আবহ সংগীতে আম্মান আব্বাসি।

‘সাবা’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে মেহজাবীনকে। এতে আরো অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনওয়ার। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন।

উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে স্থান পেয়েছে তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘সাবা’। এটি নির্মাণ করেছেন মাকসুদ হোসেন। ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়েছে ‘সাবা’র। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর আরো একটি শো হয়েছে। যাতে সরাসরি অংশ নিয়ে সিনেমাটি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এ সময় পাশে ছিলেন সিনেমার অন্যতম অভিনেতা মোস্তফা মনওয়ার এবং নির্মাতা মাকসুদ হোসেন। ১৪ সেপ্টেম্বর আরো একটি শো আছে ‘সাবা’র।

টরন্টো উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে বিভিন্ন দেশের নবাগত ও উদীয়মান পরিচালকদের প্রথম ও দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র জায়গা পেয়ে থাকে। এবারের আসরে নির্বাচিত হয়েছে ‘সাবা’সহ ২৪টি চলচ্চিত্র। এরমধ্যে ২০টির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে। এবারের উৎসব চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।