বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা, ৭৫ লাখ টাকা চান অভিনেত্রী
বয়স ৫০-এর কোটা পার করলেও এখনও নিজের সৌন্দর্য এবং তারুণ্য ধরে রেখেছেন দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী রামায়া কৃষ্ণান। চার দশকের ক্যারিয়ারে ২৬০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
নিজের অভিনয়ের গুণে ভক্তদের হৃদয়েও জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। বিশেষ করে বাহুবলি সিনেমায় রামায়ার চরিত্র আলাদা করে নজর কেড়েছে দর্শকমহলে। অনেকেই তাকে ‘বাহুবলির মা’ হিসেবেও চিনেছেন।
সদ্য ৫৪ বছরে পা রাখা রামায়া কাজ করেছেন অমিতাভ বচ্চন, মিঠুন চক্রবর্তী এবং গোবিন্দার মতো তারকাদের সঙ্গে। যার শুরুটা নব্বই দশকে। যদিও ক্যারিয়ারের শুরুতেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি।
সে সময়ে পরিচালক কেএস রবিকুমারের সঙ্গে তার সম্পর্ক কারোই অজানা ছিল না। একাধিক ছবিতে তিনি রবিকুমারের সঙ্গে কাজ করেছেন। ১৯৯৯ সালে ‘পাড়ায়াপ্পা’ এবং ‘পাটালি’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন দুজন। এই দুই ছবির হাত ধরেই সাফল্যের মুখ দেখেন অভিনেত্রী।
২০০২ সালে রবিকুমার পরিচালিত ‘পঞ্চতন্থিরম’ ছবিতে অভিনয় করেন রামায়া। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ছবির সেটেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দুজনের। বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। যদিও পরিচালক বিয়ে করেননি রামায়াকে।
শোনা যায়, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রবিকুমার। বিষয়টি জেনে ফেলেন তার স্ত্রী। একপর্যায়ে রামায়াকে হুমকি দেন পরিচালকের স্ত্রী। এরপরই তাদের সম্পর্কের সমীকরণ জটিল হতে শুরু করে।
একপর্যায়ে পরিচালক রামায়ার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তখন নাকি নির্মাতার সন্তানের মা হতে চলেছিলেন অভিনেত্রী। গর্ভপাত করানোর জন্য রবিকুমারের থেকে ৭৫ লাখ টাকা দাবিও করেন তিনি।
কারণ সম্পর্ক বাঁচানোর জন্য রামায়া কিংবা রবিকুমার ওই মুহূর্তে সন্তানের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। যদিও পরে প্রেম, সন্তানধারণ এবং গর্ভপাত নিয়ে দুজনকে প্রশ্ন করা হলে তারা সেটা অস্বীকার করেন।
এরপরে ২০০৩ সালে তেলুগু ছবির প্রযোজক কৃষ্ণ ভানসির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন রামায়া। ২০০৩ সালের ১২ জুন বিয়ে করেন তারা। আর বিয়ের পরেই তাদের কোলজুড়ে আসে এক পুত্রসন্তান। যার নাম হৃত্বিক কৃষ্ণান। বর্তমানে কৃষ্ণা বামসির সঙ্গেই সুখের সংসার এই অভিনেত্রীর।
প্রসঙ্গত তেলুগু, তামিল, কন্নড়, মালয়ালম এবং হিন্দি - এই পাঁচ ভাষার ছবিতে কাজ করেছেন রামায়া কৃষ্ণণ। আপাতত অভিনেত্রীর ঝুলিতে রয়েছে ৪টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ৩টি নন্দী পুরস্কার এবং ১টি তামিলনাড়ু স্টেট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড।