আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন
বলিউডে জায়গাটা পোক্ত করে নিয়েছেন অনেক আগে। ব্যর্থ ছবির সংখ্যাও কম। তাই বলে যে পথটা মসৃণ ছিল তা কিন্তু না। হতাশা পেয়ে বসেছে একাধিকবার। আত্মহত্যার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেছেন অভিনেত্রী।
দীপিকা বলেন, ‘অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুতেই সাফল্যের দেখা পেয়েছি। একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে কুড়িয়েছি অগণিত দর্শকের ভালোবাসা। প্রাপ্তির ঝুলি পূর্ণ হলেও কী যেন এক শূন্যতা অনুভব করা শুরু করেছিলাম। আমার জীবনে বড় সমস্যাও ছিল না। তারপরও কেন জানি মনের মধ্যে অজানা আতঙ্ক কাজ করছিল। মনে হতো, ঘুমিয়ে থাকলে জীবনের সব সমস্যা থেকে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব। এভাবে ধীরে ধীরে অবসাদ আমাকে গ্রাস করা শুরু করেছিল। শুধু তাই নয়, মানসিক অবসাদে আত্মহননের ভাবনাও মনে ভর করেছিল। সেই সময় মাকে পাশে না পেলে কী হতে পারত, তা ভেবে এখনও চমকে উঠি। তাই মনেপ্রাণে চাই, কখনও যেন আমার মতো কাউকে অবসাদে ভুগতে না হয়।’
নিজের ভয়াবহ অতীত তুলে ধরে এ তারকা বলেছেন, প্রতিটি সিনেমার সেটে একজন মনোবিদের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। চলচ্চিত্র শক্তিশালী মাধ্যম। তাই সিনেমাতেও মানসিক স্বাস্থ্যকে সঠিকভাবে তুলে ধরা উচিত। যদি সিনেমাগুলোয় মানসিক স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বার্তা সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়, তাহলে ভারতের মতো দেশে তার ফলাফল ও প্রভাব দেখার মতো হবে।
দীপিকা যোগ করেন, ‘আগামী কয়েক বছরে আমি ব্যক্তিগতভাবে একটা কাজ করতে চাই। ছবির সেটে যেন একজন মনোবিদ উপস্থিত থাকেন, তা নিশ্চিত করব। আমাদের শুটিং সেটে কিন্তু চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন। তাহলে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মনোবিদ কেন থাকবেন না? এ নিয়ে অবশ্যই নির্মাতাদের ভাবা উচিত। কারণ, জীবনে তেমন কোনো সমস্যা না থাকলেও অবসাদ আসতে পারে।’
দীপিকাকে শেষ দেখা গেছে ‘কল্কি’সিনেমায়। মাস চারেক আগে মা হয়েছেন তিনি। কদিন আগে কন্যাকে এনেছেন প্রকাশ্যে। বর্তমানে আছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। ফেরার পর ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিক্যুয়েলের কাজ শুরু করবেন বলে জানা গেছে।