কঙ্গনাকে চড় মারা কনস্টেবল বরখাস্ত হলে চাকরি দেবেন বিশাল দাদলানি
কঙ্গনা রানাওয়াতকে চড় মারা কুলবিন্দর কৌর বরখাস্ত হলে তাকে চাকুরি দেবেন বলিউডের খ্যাতিমান গায়ক-সুরকার বিশাল দাদলানি। নিজের ইনস্টাগ্রামের দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতের সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) কনস্টেবল কুলবিন্দর কৌর ভারতের লোকসভায় বিজেপির নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য কঙ্গনা রানাওয়াতকে চড় মারেন।
এ ঘটনায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত কনস্টেবল কুলবিন্দর কৌর। পরে বিশাল তার ইনস্ট্রাগ্রামে দেওয়া পোস্টে লেখেন, যদি কুলবিন্দরের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে তাকে চাকরি দেবেন তিনি।
পোস্টে বিশাল লিখেন, আমি কোনো ধরনের সহিংসতা সমর্থন করি না। তবে আমি ওই সিআইএসএফ সদস্যের রাগের কারণ বুঝি। যদি সিআইএসএফ তার (কুলবিন্দর) বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়, তাহলে আমি এটা নিশ্চিত করতে পারি যে তার চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। অবশ্য তিনি যদি সেটা নিতে চান।
উল্লেখ্য, অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া কঙ্গনা গত বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কুলবিন্দর কৌর চড় মারেন বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় কুলবিন্দরকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। তাকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়েছে। ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সিআইএসএফ।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসনে বিজেপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বলিউড তারকা কঙ্গনা। তিনি প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই জয় পেয়েছেন। তার কাছে হেরেছেন কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিং।
বলা হচ্ছে, ভারতে ২০২০ সালের কৃষক বিক্ষোভের সময় বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। এ কারণে তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন কুলবিন্দর। এই ক্ষোভ থেকেই তিনি কঙ্গনাকে চড় মেরেছেন। ওই সময় নির্বাচনে জয়ের পর দিল্লিতে আসছিলেন কঙ্গনা।
চড় মারার ঘটনার পরের একটি ভিডিওতে কুলবিন্দরকে ২০২০ সালের কৃষক বিক্ষোভের সময়কার কঙ্গনার বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানাতে শোনা যায়। তিনি বলেন, সে সময় কঙ্গনা বলেছিলেন, কৃষকেরা অর্থের বিনিময়ে দিল্লিতে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভ করার জন্য তাদের ১০০ বা ২০০ রুপি করে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তার (কুলবিন্দর) মা-ও ছিলেন।
কুলবিন্দর পাঞ্জাবের সুলতানপুর লোধির বাসিন্দা। তার স্বামীও সিআইএসএফের একজন সদস্য। কুলবিন্দরের ভাই শের সিং। তিনি একজন কৃষকনেতা। তিনি কিষান মজদুর সংগ্রাম কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।