নিউজিল্যান্ড ছাড়ছেন রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী

নিউজিল্যান্ড ছাড়ছেন রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী

২০২৩ সালের পর চলতি বছরও নিউজিল্যান্ড ছাড়ছেন রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী। ২০২৩ সালে দেশটির ১ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ অভিবাসী অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়া ও কর্মসংস্থানের অভাবে নিউজিল্যান্ড ত্যাগের হিড়িক পড়েছে অভিবাসীদের মধ্যে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

স্ট্যাট নিউজিল্যান্ডের অস্থায়ী আন্তর্জাতিক অভিবাসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দীর্ঘ মেয়াদে দেশ ত্যাগকারীদের মধ্যে আনুমানিক ৮১ হাজার ২০০ নিউজিল্যান্ডের নাগরিক রয়েছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০১২ সালে রেকর্ড ৭২ হাজার ৪০০ জন দেশ ছেড়েছিলেন।

অভিবাসন তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে ফিরে এসেছেন ২৪ হাজার ৮০০ নাগরিক। ফলে সামগ্রিক হিসাবে দেশটিতে ৫৬ হাজার ৫০০ জন আভিবাসী কমে গেছে, যা ২০১২ সালে ছিল ৪৪ হাজার ৪০০ জন। ফলে নতুন করে এ অভিবাসন ঘাটতি আগের রেকর্ড ভেঙেছে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ওই বছরে নিউজিল্যান্ডে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০০ বিদেশি অভিবাসী প্রবেশ করেন। ফলে সামগ্রিকভাবে অভিবাসী বেড়েছে ৯৮ হাজার ৫০০ জন। এ তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে ভারত। এরপর রয়েছে ফিলিপাইন ও চীন।

বুধবার অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অভিবাসনসংক্রান্ত অস্থায়ী ডেটাও প্রকাশ করেছে স্ট্যাট নিউজিল্যান্ড। এতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ছেড়ে যাওয়া নাগরিকদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়া ও কর্মসংস্থানের অভাবে নিউজিল্যান্ডের তরুণ পেশাদার বা স্নাতকরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। দেশটির অনেক তরুণ স্কুল বা উচ্চশিক্ষা শেষ করে বিদেশে পাড়ি জমানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন।

স্ট্যাট নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা নির্দেশক ব্যবস্থাপক তেহসিন ইসলাম বলেন, ঐতিহাসিকভাবে অভিবাসন পরিবর্তনের পেছনে বেশকিছু কারণ থাকে। এরমধ্যে অন্যতম হলো নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনামূলক অর্থনৈতিক ও শ্রমবাজারের অবস্থা।

ইনফোমেট্রিক্সের প্রধান অর্থনীতিবিদ ব্র্যাড ওলসেন জানান, বিদেশে অভিবাসনের পেছনে দুটি প্রধান কারণ রয়েছে। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কম বয়সী কিউইরা দেশের বাইরে যায়। এক্ষেত্রে তাদের বিদেশ সফর বিলম্বিত হতে পারে। কারণ গত কয়েক বছর ধরে এ ক্ষেত্রে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটছে।

তিনি আরো বলেন, দেশ ত্যাগ করাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানোর ফলে এটি বোঝা যায়, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এবং পরিবার অন্য কোথাও সুযোগ খুঁজছে। তারা আরো স্থায়ী পদক্ষেপের দিকে ঝুঁকছে।