সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসা সত্ত্বেও আমিরাতে কমেছে কর্মী
চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে বাংলাদেশের বৃহত্তম শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে। অথচ গত এক যুগ ধরে বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে দেশটিতে কর্মী পাঠাতে।
দীর্ঘ সময় বন্ধের পর ২০২১ সাল থেকে আমিরাতে নতুন কর্মী পাঠানো বাড়তে শুরু করে। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। দালাল চক্রের প্রতারণার মাধ্যমে আমিরাতে কর্মী পাঠানোসহ বেশকিছু কারণে দেশটির নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশি কর্মী নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৬৮টি দেশে কর্মসংস্থান হয়েছে বাংলাদেশি কর্মীদের। এর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার আরব আমিরাতে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৭ শতাংশের বেশি কর্মীর। ১৯৭৬ সাল থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে গেছেন ২৬ লাখ ২৮ হাজার ২১৮ বাংলাদেশি কর্মী।
আরব আমিরাতে ২০২২ সালে প্রতি মাসে কর্মী গেছেন প্রায় সাড়ে আট হাজার। ২০২৩ সালে গেছেন গড়ে ৮ হাজার ২০০ কর্মী। চলতি বছর চার মাসে গেছেন গড়ে সাড়ে ছয় হাজার।
২০২১-২২ সালে দেশটি থেকে আয় এসেছে ২০৭ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে সেটি বেড়ে হয় ৩০৩ কোটি ডলার। কর্মী পাঠানো কমতে থাকলে ধীরে ধীরে প্রবাসী আয় কমে যেতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
গণমাধ্যমকে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার বলেন, আরব আমিরাত অদক্ষ খাতে কর্মী নিয়োগের ভিসা দেয় না। পেশাদার খাতে নিতে চায়। যদিও সেখানে গেয়ে ভিসার ধরন বদলের সুযোগ থাকে। এসব জটিলতা দূর করে দেশটিতে কর্মী পাঠানো বাড়াতে দুই দেশের সরকারের মধ্য আলোচনা দরকার।
এদিকে গত ২৪ মে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে আরব আমিরাত সফরে যান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। বিদেশি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে ২৫ মে দুপুরে একটি মতবিনিময় সভা করেন তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তরা জানান, মোটরবাইকের চালক ও গাড়িচালক হিসেবে আরো বেশি কর্মী পাঠানোর সুযোগ নিয়ে আলোচনা হয় ঐ সভায়। মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ খাতে দক্ষ কর্মী তৈরি করা হচ্ছে। নিয়োগকর্তাদের তা পরিদর্শন করতে বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রতিমন্ত্রী।