বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে জনবলের সংকট

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল করলেও জনবলের অভাবে তা পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে পারছে না। জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয় এই হাসপাতালের জন্য জনবল নিয়োগের বিষয়টি মঞ্জুর না করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। 

আজ বৃহস্পতিবার শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সিন্ডিকেটর ৯২তম সভা। সভায় হাসপাতালের বাজেট অনুমোদিত হয়। সিন্ডিকেট সভায় বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

বাজেটে জানানো হয়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য গবেষণা খাতে ৩০ কোটি ৭০ লাখ এবং প্রশিক্ষণ খাতে ৪ কোটি ৯০ লাখসহ গবেষণা ও প্রশিক্ষণে ৩৫ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেটে চিকিৎসা ও শৈল্য খাতে (এমএসআর) বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য মেধাবৃত্তি খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১২৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। 

বাজেটে পূর্ত সংরক্ষণে ১৮ কোটি ৪০ লক্ষ, পণ্য সেবার উপখাতসমূহে ৮৭ কোটি ৩৯ লক্ষ ৬০ হাজার, যন্ত্রাংশ (মূলধন) উপখাতে ৪৪ কোটি ৫৮ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খাতে ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া বেতন বাবদ ২ শত ৭৫ কোটি ৬৫ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা, ভাতাদি বাবদ ২ শত ১৩ কোটি ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং পেনশন মঞ্জুরী খাতে ৪৭ কোটি ৩৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

বাজেটে এ বছর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ হতে সম্ভাব্য প্রাপ্য বরাদ্দের পরিমাণ ৬ শত ৮৩ কোটি ৭৪ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) হতে ২ শত ৪৫ কোটি ৫৮ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা এবং নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১ শত ২৫ কোটি টাকা।

বাজেট প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, বর্তমানে ছাত্রছাত্রীদের মাসিক বৃত্তি ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হচ্ছে। স্নাতকোত্তর ছাত্রছাত্রীদের থিসিস গ্রান্ট হিসেবে টাকা প্রদান করা হচ্ছে। রেসিডেন্সি কোর্স হল সম্পূর্ণ আবাসি স্নাতকোত্তর শিক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোন আবাসিক হল নেই। চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্সদের আবাসিক ব্যবস্থা নাই। ছাত্র- ছাত্রীদের জন্য পৃথক ২টি আবাসিক হল নির্মাণ এবং কর্মরত জনবলের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সাড়ে চার শত কোটি টাকার প্রয়োজন। 

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল সম্পর্কে উপাচার্য তিনি বলেন, এই হাসপাতাল পুরোপুরি চালু করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বপ্নের এই হাসপাতালটি বর্তমানে বিএসএমএমইউ’র জনবল দিয়ে প্রতিটি কার্যক্রম সীমিতভাবে চালু আছে। এই হাসপাতালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট অনুমোদিত প্রস্তাবিত নতুন জনবল দুই হাজার সাত শত আটান্ন (২৭৫৮) জন যা এখন পর্যন্ত জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মঞ্জুর হয়নি। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পরিচালনার আইনি কাঠামো নির্ধারণের জন্যে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।