রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের আহ্বান দাতা সংস্থাগুলোর

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ফাইল ছবি

বিশ্ব শরণার্থী দিবসে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও অন্যান্য দেশসহ দাতা সংস্থাগুলো।

এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘আমরা সংঘাত, সহিংসতা ও নিপীড়নের কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ১২ কোটি মানুষ, অর্থাৎ বিশ্বের প্রতি ৬৯ জনের মধ্যে ১ জনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। এদের মধ্যে রয়েছে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা, যারা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।’

রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনের সময় সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানায় দাতা সংস্থাগুলো। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা জনগণের অবিশ্বাস্য স্থিতিশীলতা ও আত্মবিশ্বাস সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করে দাতা সংস্থাগুলো।

দাতা সংস্থাগুলোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। উদীয়মান নতুন সংকট এবং ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মানবিক চাহিদার মাঝে এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের জন্য বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।

শরণার্থী শিবিরগুলোতে শিক্ষা ও জীবিকার সুযোগ বাড়ানো, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দারিদ্র্য এবং সেই চক্র কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় আত্মনির্ভরশীলতা তৈরি করতে পারে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করে তারা।

দাতা দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং মানবিক অবস্থার অবনতির অর্থ হলো, এটি নিকট ভবিষ্যতে অসম্ভব। আমরা রাখাইন রাজ্যের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি এবং সীমান্তের ক্রসবর্ডারে এর প্রভাব নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সব নাগরিকের সুরক্ষার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করছি।’

এর আগে ২০২৩ সালে ডিসেম্বরে গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির জটিলতা মোকাবিলার জন্য বৈশ্বিক দায়িত্ব এবং অংশীদারিত্ব বাড়াতে একটি যৌথ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। 

দাতা সংস্থাগুলো জানায়, বাংলাদেশে অবস্থানকালে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি উন্নত এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য টেকসই সমাধানের দিকে আঞ্চলিক সমন্বয় এবং যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চান তারা।

বিবৃতিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করেছে। অন্যান্য দাতা দেশগুলো হলো- যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, স্পেন, সুইডেন, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে ও ইতালি।