চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে কবিরাজ সুলাল চৌধুরী হত্যা মামলায় ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরেকজনকে খালাস দেওয়া হয়। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামির ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এইচ এম শফিকুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
জেলার রাউজান উপজেলায় ৮ বছর আগে কবিরাজ সুলাল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছিল।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— রাউজান থানার চিকদাইর গ্রামের পরিমল চৌধুরীর ছেলে মিঠু চৌধুরী, একই এলাকার মৃত সন্তু চৌধুরীর ছেলে সুমন চৌধুরী (৩৫), আবদুর রহমান চৌকিদারের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৫) এবং শাহ আলমের ছেলে এরশাদ হোসেন (৩৫)।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন— রাউজান থানার চিকদাইর গ্রামের নীল কমল কবিরাজের বাড়ির ডা. পায়রিণ চৌধুরীর ছেলে সুদ্বীপ চৌধুরী প্রকাশ ও সঞ্জিত চৌধুরী।
আর খালাস পেয়েছেন রাউজান থানার চিকদাইর মুন্সী পাড়ার নুর মোহাম্মাদের ছেলে মো. ইলিয়াস প্রকাশ ইলু (৩০)।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, সুলাল চৌধুরী পেশায় কবিরাজ ছিলেন। তিনি রাউজান উপজেলার আজাদী বাজারের যুগিরহাট চাউল বাজারে অভয়া উৎঘালয় নামে একটি ফার্মেসি চালাতেন। ২০১৬ সালের ২৫ জুন রাত ৯টার দিকে ফার্মেসির কাজ শেষে রিকশায় বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রাস্তার পাশের ডোবায় ফেলে যায় অভিযুক্তরা। ওইদিন রাত ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার তিনদিন পর ভিকটিমের ছেলে একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ছয়মাস পর ২৭ ডিসেম্বর মোট ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুদীপ কান্তি নাথ বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে আদালত এই রায় দিয়েছেন। এসময় একজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিনজন পলাতক।