প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে আশাবাদী ঢাকা

ফাইল ছবি

আগামী ৮ জুলাই চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে দেশটির সঙ্গে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। বিশেষ করে জ্বালানি ও রিজার্ভ সংকট মোকাবিলাকে প্রাধান্য দিয়ে সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফরকে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে, দেশের রিজার্ভ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে চীনের সহায়তা বিষয়ক আলোচনা দ্বিপক্ষীয় এই সফরে গুরুত্ব পাবে। সরকারের পক্ষ হতে চীনের কাছে এ দুটি বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। চীন দুটি বিষয়েই ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ভারতে একটি সফল সফরের পর প্রধানমন্ত্রী আগামী সপ্তাহে চীন সফর করছেন। চীন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। সেক্ষেত্রে দেশের জন্য লাভজনক এমন অনেক কিছুই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চীন আমাদের যেসব খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সে বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হবে। বিএনপিসহ এখন যেসব রাজনৈতিক দল সরকারের সমালোচনা করছে তখন তারা কোথায় মুখ লুকাবে?’

এদিকে একইদিন প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে কথা বলেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে চীনের কাছে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মোট সাতটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চীন রাজি হলে এসব খাতে সমঝোতা স্মারক সই হবে। সরকার বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী বলেও উল্লেখ করেন নসরুল হামিদ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, তিস্তা মহাপ্রকল্পে একই সঙ্গে চীন ও ভারতের বিনিয়োগ প্রস্তাব ইস্যুতে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরে তা দূর হবে। এক্ষেত্রে তিস্তায় চীন ও ভারতের অংশীদারিত্বের বিষয়টি কার্যকর হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে সব সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বাংলাদেশের রিজার্ভ ঘাটতির বিষয়টি তার সরকার অবগত উল্লেখ করে তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে চীনের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার দেশের সরকারপ্রধানের বৈঠকে এ বিষয়ে নতুন ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া পায়রা বন্দর ও তিস্তা প্রকল্পে বিনিয়োগের বিষয়েও বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে মন্তব্য করেন এ চীনা কূটনীতিক। তিনি বলেন, ‘তিস্তা বাংলাদেশের নদী। এখানে প্রকল্প নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ নেবে। এ নদীটির ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করতে চীন প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ সমীক্ষা করার কথা বলেছে। এখন প্রস্তাব গ্রহণ করার বিষয় বাংলাদেশের। চীন সেই সিদ্ধান্তে সম্মান জানাবে।’