কোটা সংস্কার: ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে গণজাগরণ

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার (১৪ জুলাই) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ ছিল রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে দুপুরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে ছাত্রলীগ।

এদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতেও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। তারা কেন্দ্রীয় কর্মসূচচির অংশ হিসেবে নিজ নিজ জেলা প্রশাসক বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। ক্যাম্পাস থেকে মিছিল সহকারে গিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থান নিয়ে ছাত্র প্রতিনিধিরা এ স্মারকলিপি জমা দেন। এসময় হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে ওইসব মিছিলে অংশ নিতে দেখা যায়। ফলে রাজধানী ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, বরিশাল নগরীতে যানজটের সৃষ্টি হয়।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন। রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের হাতে স্মারকলিপি তুলে দিয়ে রবিবার দুপুরে গুলিস্তানে ফিরে এসে প্রতিনিধিরা জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের এক দফা দাবির বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চান তারা। রাষ্ট্রপতির কাছেও তারা সেই আবেদন রেখেছেন।

সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী) কোটা রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করার এক দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে মিছিল বের করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শাহবাগ ও মৎস্য ভবন হয়ে এগিয়ে এসে আব্দুলগণি রোডের গোড়ায় শিক্ষা অধিকার চত্বর ও জিরো পয়েন্টে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। এতে গুলিস্তান এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দুপুর আড়াইটার দিকে এই অবস্থান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের ১২ জনের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যান। বেলা তিনটার দিকে তারা বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে আসেন। পরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সামনে এসে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১২ জনের একটি দল বঙ্গভবনে গিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের হাতে স্মারকলিপিটি দিয়ে এসেছি। তিনি (সামরিক সচিব) নিশ্চিত করেছেন যে স্মারকলিপিটি দ্রুতই রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘স্মারকলিপিতে আমরা সরকারি চাকরিতে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রেখে সংসদে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছি। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসনে থেকে ছাত্রসমাজের প্রাণের দাবিটি অতিসত্বর বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেন বলে আমরা আশা করি।’

এসময় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে জনদুর্ভোগ তৈরি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আমরা এখনো কোনো আশ্বাস পাচ্ছি না। সরকারের কী উদ্দেশ্য, তা আমরা বুঝতে পারছি না। সব গ্রেডে কোটা সংস্কারের এখতিয়ার নির্বাহী বিভাগ ও সরকারেরই। আমরা চাইছি, সংসদের মাধ্যমে আইন করে যথাযথভাবে বিষয়টি বিধিবদ্ধ করার জন্য।’

জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিলেন চবি শিক্ষার্থীরা

সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটা সংস্কারের দাবিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পৌঁছে দেন তারা। এর আগে রোববার সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ষোলোশহর স্টেশন এলাকা থেকে গণপদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি ষোলো শহর থেকে ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড় ও ওয়াসা মোড় হয়ে সোয়া ১২টার দিকে লালখানবাজার এলাকা অতিক্রম করে।এতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন মোড় থেকে মিছিলে চবি অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থী অংশ নেন।

আন্দোলনের একজন সমন্বয়কারী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আরেফিন বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

স্মারকলিপি দিতে রাবি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ পদযাত্রা

সরকারি চাকরির সকল স্তরে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের একদফা দাবিতে রাজশাহীতে গণপদযাত্রা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রবিবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে এ গণপদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। সোয়া দুই ঘণ্টায় নয় কিলোমিটার হেঁটে বেলা দেড়টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে এসে পৌঁছান তারা।

পরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের হাতে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। এ কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।

স্মারকলিপি গ্রহণ শেষে রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি সরকারের কোনো প্রতিনিধি না। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তামাত্র। প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী যেভাবে স্মারকলিপি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়, সেটি আমি আন্তরিকতার সঙ্গে শিগগিরই হস্তান্তর করবো। জনগণের জানমালের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে শিক্ষার্থীদের খেয়াল রাখার অনুরোধ করছি।’

এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচি হিসেবে রাষ্ট্রপতি বরাবর রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি দিয়েছি।। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা স্মারকলিপিতে ২৪ ঘণ্টা সময় সীমা বেঁধে দিয়েছি। এতেও যদি নির্বাহী বিভাগের কোনো ধরনের আশ্বাস আমরা না পাই, তাহলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

জাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষকদের সংহতি

সরকারি চাকরিতে ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ৫ শতাংশে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংহতি সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের সমাবেশে বেশ কয়েকজন শিক্ষক সংহতি প্রকাশ করেন।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেখে মনে হচ্ছে, তারা ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের উত্তরসূরি। কোটার উদ্দেশ্য বৈষম্য সৃষ্টি করা নয়, বরং বৈষম্য নির্মূল করা।’

‘কিন্তু এখন কোটার মাধ্যমে এক ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। তার চেয়ে বড় কথা, কোটার মধ্য দিয়ে পুরো দেশকে মেধাশূন্য করা হচ্ছে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুধু চাকরির আন্দোলন নয়, দেশ রক্ষার আন্দোলন।’

দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে যে বৈষম্য তৈরি করার পাঁয়তারা করছেন, তা বন্ধ করুন। মেধাভিত্তিক, দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যমুক্ত একটি সুন্দর বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। আমরা শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন জানাচ্ছি।’

স্মারকলিপি দিতে ১০ কিলোমিটার পথ মাড়ালো শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

কোটা সংস্কারের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ক্যাম্পাস থেকে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শাবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে এ গণপদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গণপদযাত্রাটি ক্যাম্পাস থেকে সুবিদবাজার ও রিকাবীবাজার হয়ে বন্দরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। দুপুর ২টার দিকে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। রাষ্ট্রপতির নিকট স্মারকলিপি পাঠাবেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন জেলা প্রশাসক।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, সারা বাংলার ছাত্রসমাজ দীর্ঘদিন ধরে কোটা বৈষম্যের বিরদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে গোটা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করছি। এটির উদ্দেশ্য হচ্ছে রাষ্ট্রপতি যেন সংসদে একটি জরুরি অধিবেশন ডেকে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে কার্যকর সমাধানের একটা ব্যবস্থা করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই শিক্ষার্থী। আমরা পড়াশোনায় ফিরতে চাই, আমরা গবেষণাগারে ফিরতে চাই। আমাদের দাবি মেনে নিন, আমাদের পড়াশোনার টেবিলে ফিরতে দিন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা যোগ দিয়েছেন তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ মামলা প্রত্যাহার করা হোক এবং আমাদের এক দফা দাবি মেনে নেওয়া হোক। তা না হলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।

সিলেটের এমসি কলেজ থেকে যুক্ত হওয়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তানজিনা বেগম বলেন, রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতাবলে অবিলম্বে সংসদে অধিবেশন ডেকে বাংলাদেশের কোটা বৈষম্যের যৌক্তিক সমাধান করা হোক। অনগ্রসর ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ৫% কোটা রেখে চাকরিতে সকল গ্রেডে ৯৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা সারাদেশে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি। গণপদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদানে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, লিডিং ইউনিভার্সিটি, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, এম সি কলেজ, মদন মোহন কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থী অংশ নেন।

খুবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি প্রদান

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রবিবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এই স্মারকলিপিতে তারা জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন আহ্বান করে তাদের দাবি পূরণের জন্য আলোচনার দাবি জানিয়েছেন।আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমান কোটা ব্যবস্থা অন্যায় ও বৈষম্যমূলক। তারা মনে করেন, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া উচিত। এসময় তাদের সঙ্গে খুলনা নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।