কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্ষমতাসীন সরকারের অন্যায়-অপকর্মের ফসল

অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্ষমতাসীন সরকারের অন্যায়-অপকর্ম এবং অপকৌশলের ফসল বলে মন্তব্য করেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম।

দ্য মিরর এশিয়ার ঢাকা প্রতিনিধির সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আবদুল লতিফ মাসুম আরো বলেন, যে কোনো সংস্কার বা জাতীয় ইস্যুকে সুচিন্তিতভাবে, পরিকল্পিতভাবে মোকাবিলা করা দরকার। প্রাথমিকভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলনটি সকল কোটা বিলুপ্তির জন্য ছিল না। তাদের দাবি ছিল কোটা সংস্কারের। প্রধানমন্ত্রী একতরফাভাবে পুরো কোটা ব্যবস্থাই বাতিল করলেন। এখন যখন ছাত্র লীগের দাবির মুখে পড়লেন, তখন আদালতের মাধ্যমে সরকারের ঐ একতরফা নীতিই প্রতিফলিত হলো।

তিনি বলেন, আবারও একগুঁয়েমি দেখাচ্ছেন তারা। যে কোনো আন্দোলনকে বিপদগামী করা, অন্যায়ভাবে ব্যাখ্যা করা তাদের অভ্যাস। দল মত নির্বিশেষে এই ইস্যুটি যখন জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে; তখন এদেরকে যারা রাজাকার বলে চিহ্নিত করতে চায়, তারাই বরং রাজাকার বলে প্রমাণিত হবে।

সরকারের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও সিদ্ধান্তহীনতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন ড. আব্দুল লতিফ মাসুম। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী যখন বলছেন এককথা; অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী বলছেন একগুঁয়েমি কথা। আসলে এরা নীতি-নৈতিকতা ও রাষ্ট্রীয় বিষয়ের চেয়ে ক্ষমতাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যখন আন্দোলনটি তুঙ্গে পৌঁছাবে, তখন দেখবেন সব-ই গ্রহণযোগ্য, সব-ই সিদ্ধ। আসলে দেশপ্রেম বলতে এদের মধ্যে কিছুই নেই। আছে ক্ষমতাপ্রেম।

ক্ষমতাসীন নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নাগরিক সমাজ অবাক হবেন না যদি আবারও সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে কোনো গোঁজামিলের সমাধান আসে। এই আন্দোলনটি সকল নাগরিকের ভবিষ্যৎ, ভবিষ্যতের স্বার্থে পরিচালিত। সুতরাং, সকলেরই উচিত এই আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য শক্ত-প্রত্যক্ষ সমর্থন দেওয়া।