যাদের নাম আছে ডিবির গ্রেপ্তারের তালিকায়
দেশব্যাপী ছাত্র-গণ আন্দোলন দমাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রায় ৫০ নেতাকর্মীর তালিকা করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ডিবি অফিসে দফায় দফায় বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত হয়। ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে ওই বৈঠকগুলোতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারাও অংশ নেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের অবস্থান দুর্বল হওয়ার পর পুলিশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে ভিন্ন কৌশল নেয়। যার অংশ হিসেবে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুনের নেতৃত্বে ডিবি অফিসে কয়েক দফা বৈঠক হয়। বৈঠকে আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি এবং ছাত্রলীগের অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়।
একপর্যায়ে বৈঠক থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক আন্দোলনে নেতৃস্থানীয়দের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দেন ডিবির হারুন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, তালিকার বেশিরভাগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে কুমিল্লার আবু বাকের মজুমদার, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, কক্সবাজারের মো. রিদুয়ান ও নুরুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের সুজন মিয়া, কুড়িগ্রামের মুমতাহীনা মাহজাবিন, গাজীপুরের আনিকা তাহসিনা, রাফিয়া রেহনুমা, তানজিলা তামিম হাফসা, চট্টগ্রামের উমামা ফাতেমা, চাঁদপুরের মেহেদী হাসান, চাপাইনবাবগঞ্জের কুররাতুল আন কানিজ, ঝালকাঠীর সাব্বির উদ্দিন রিয়ন, ঝিনাইদহের সাদিয়া হাসান লিজা, ঠাকুরগাঁওয়ের এসএম সুইট, নওগাঁর নুমান আহমদ চৌধুরি, ঢাকার নাহিদ ইসলাম, রেজোয়ান রিফাত, রশিদুল ইসলাম রিফাত, বরিশালের মহিউদ্দিন রনি, এবি যুবায়ের, বাগেরহাটের সরকার নাদিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোহাম্মদ সোহাগ মিয়া, ময়মনসিংহের দিলরুবা আক্তার পলি, মুন্সীগঞ্জের ইব্রাহীম নিরব, মুন্সীগঞ্জের মালিহা, যশোরের আসাদুল্লাহ আল গালিব, রাজশাহীর ফাহিম শাহরিয়ার, লক্ষ্মীপুরের হামজা মাহবুব ও আব্দুল কাদের, সিরাজগঞ্জের মাহিন সরকার, লালমনিরহাটের রাসেল আহমেদ এবং সাতক্ষীরার নিশিতা জামান নিহা ও রিজভী আলম, ফরিদপুরের হাসিবুল ইসলাম ও তৌহিদ আহমেদ আশিক, পটুয়াখালীর রাইয়ান ফেরদৌস, পঞ্চগড়ের সারজিস আলম, নোয়াখালীর আলিফ হোসাইন, নরসিংদীর সামিয়া আক্তার সীমা ও বায়েজিদ হাসানের নাম রয়েছে।
জানা গেছে, এদের নামে ফৌজদারী হামলা করে গ্রেফতার করা হবে। সেই পরিকল্পনা মতো ডিবি পুলিশ প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে বুধবার সকালে হারুন অর রশীদ বলেছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে একটি গ্রুপ অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে অপরাজনীতি ও ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা চালিয়েছে। তাদের সবার নামের তালিকা পেয়েছি।